খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের পরিকল্পনা কেডিএ’র, শহরের বাইরে হবে দু’টি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৩০ এ.এম | ০৫ মার্চ ২০২৩


নগরীর সোনাডাঙ্গা টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় যানজট নিরসনকল্পে শহরের বাইরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিচ্ছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন দু’টি টার্মিনাল নির্মাণের। প্রস্তাবিত এলাকা হচ্ছে রূপসা ব্রিজ-জিরো পয়েন্টের মধ্যে এবং অন্যটি মোস্তর মোড়। প্রথম টার্মিনাল থেকে দক্ষিণ বঙ্গগামী পরিবহন, বাস, মিনিবাসগুলো বহির্গমন এবং নির্গমন করবে বাকী টার্মিনাল হতে যশোর রুটের দিকে পরিবহন, বাস, মিনিবাসগুলোর বহির্গমন এবং নির্গমনের জন্য।
কেডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প) মোরতোজা আল-মামুন বলেন, ঢাকা মেগাসিটি। সেখানে ৩টি টার্মিনাল আছে। আমাদের খুলনা মেগাসিটি না হলেও দু’টি টার্মিনাল করা যায় কিনা এটা আমাদের চিন্তা ভাবনা আছে। 
তিনি বলেন, খুলনা শহরের ডিরেকশন হয়ে গেছে দুই দিকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর রুট ডিফারেন্ট হয়ে গেছে। বর্তমান টার্মিনালটি শহরের ভেতরে হওয়ায় কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। একটি টার্মিনাল শহরের বাইরে মোস্তর মোড় এলাকায় হতে পারে। যেখান থেকে যশোর রুটের গাড়িগুলো ও ঐ দিকে চলে গেল। আরেকটা টার্মিনাল রূপসা ব্রিজ-জিরো পয়েন্টের মধ্যে হতে পারে। যেখান থেকে পদ্মা সেতু বা দক্ষিণবঙ্গের গাড়িগুলো জিরো পয়েন্টের হয়ে রূপসা ব্রিজ হয়ে চলে যাবে। তখন জিরো পয়েন্ট থেকে এদিকে অর্থাৎ শহরের ভিতর গাড়ি ঢোকার আর প্রয়োজন থাকবে না। এটা আমাদের একটা পরিকল্পনা। এ ব্যাপারে এখনো কিন্তু আমরা কাগজ-কলমে কিছু করা হয়নি। তবে এটা পরিকল্পনায় আছে। আর এই পরিকল্পনা করে যেকোনো একটা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (Project formulation and implementation) করতে কমপক্ষে ৭-৮ বছর সময় লেগে যায়। এ ব্যাপারে আমাদের ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে।
জানা যায়, বিভাগীয় শহর খুলনার একমাত্র বাস টর্মিনাল সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। কাগজ কলমে যেটি কেডিএ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নামে লিপিবদ্ধ। ৩ যুগ পূর্বে ১৯৮৫ সালে ১২ একর জায়গার উপর নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার সোনাডাঙ্গায় টার্মিনালটি নির্মাণ করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। টার্মিনালটি নির্মাণের ৩৭ বছর পরে এসে টার্মিনালের পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোর যানজট দেখা দেওয়ায়  সচেতন নগরবাসীর যে কারোরই মনে হবে প্রথমতঃ শহরের অভ্যন্তরে টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্তটি ছিলো ভুল। দ্বিতীয়তঃ টার্মিনাল নির্মাণে ছিলো যথেষ্ট পরিকল্পনার অভাব।
নগরীর অন্যতম এই এলাকার প্রবেশদ্বারটির শ্রীহীন এবং বেহাল অবস্থা দেখে নগরীতে আসা অতিথিরা খুলনা নগর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে যায়। বাস টার্মিনালকে কেন্দ্র করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটি দিনের অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। প্রতিদিন শতশত বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যায়। আবার বিভিন্ন রুট থেকে বাসগুলো এসে টার্মিনালে অবস্থান নেয়।
টার্মিনালের সংলগ্ন সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলে নেই কোন শৃঙ্খলা। টার্মিনালের কাছে বাসগুলো সড়কের দু’পাশে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যানজট তীব্রতর হয়।
নাগরিক নেতারা বলেন, শহরের বাইরে বর্তমান টার্মিনাল স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা নিঃসন্দেহে একটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত হবে। ফলশ্র“তিতে এই এলাকার দীর্ঘদিনের যানজট থেকে নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে এবং এলাকাটি ও বিশৃঙ্খলা মুক্ত হবে। কেডিএ’র নিকট খুলনাবাসীর প্রত্যাশা যত দ্রুত প্রকল্পটি তৈরি করে এর বাস্তবায়ন দেখতে চায় খুলনাবাসী।

্রিন্ট

আরও সংবদ