খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৫ মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খুলনায় নানা কর্মসূচি

বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আজ

খবর ডেস্ক |
০১:০০ এ.এম | ১৭ মার্চ ২০২৩


সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ)। ১৯২০ সালের এদিন তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার নিভৃত গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে তাঁর জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে জাতীয় শিশু সমাবেশ ও তিনদিন ব্যাপী বই মেলার ও আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই জাতীয় শিশু সমাবেশে যোগ দিবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
বাংলার এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতিই শুধু নন, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে উঠেন তিনি।  
প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন-শোষণ থেকে স্বাধীনতার জন্য উত্তাল ভারতের অগ্নিগর্ভে জন্ম নেন শেখ মুজিব। শৈশব থেকেই জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতন দেখেছেন। নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। ব্রিটিশ- শোষণ থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ মুক্ত হলেও বাঙালির ওপর জেঁকে বসে পাকিস্তানি-শোষণ-নির্যাতন। ধর্মীয় দ্বিজাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র শুরু থেকেই বাঙালির ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাতে থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তখন থেকেই প্রতিবাদী হয়ে উঠে বাঙালি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিব বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়াতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাক, আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। বঙ্গবন্ধুর এই চূড়ান্ত নির্দেশই জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জোগায়। এর ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ অস্ত্র নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। শেখ মুজিবের নির্দেশেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে আনে।
পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুনের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সাত বছর বয়সে তিনি পার্শ্ববর্তী গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও পরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করেন।
১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন তিনি।  ওই কলেজের বেকার হোস্টেলে আবাসন নেন। ১৯৪৬ সালে শেখ মুজিব বিএ পাস করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই সময়ে তিনি হোসেন সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪৬ সালে সা¤প্রদায়িক দাঙ্গায় শান্তি স্থাপনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাবিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সক্রিয় অংশ নেন শেখ মুজিব। পাকিস্তানের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করার আন্দোলন গড়ে তুলতে থাকেন। বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শোষণ, নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নেমে আসে জেল-জুলুম নির্যাতন। রাজনৈতিক জীবনে এক যুগেরও অধিককাল তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। দুইবার তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন।  ১৮ বার কারাবরণ করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি শাসক চক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সব আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন।
১৯৫২, ’৫৪, ’৬২, ’৬৬ এর আন্দোলন আর ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ’৭০-এর নির্বাচনে বিজয় সবই জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একেকটি মাইলফলক। আর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসেন। জাতি পিতা সদ্য স্বাধীন দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী, দেশি-বিদেশি চক্র তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
খুলনায় কর্মসূচি : দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন, খুলনা বিশ^বিদ্যালয় খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, খুলনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন : দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। শুক্রবার সকাল আটটায় খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল নয়টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে জাতীয় অনুষ্ঠান বিটিভি’র সহায়তায় সরাসরি প্রদর্শন ও প্রচার করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে বাদজোহর সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। ঐদিন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সরকারি ভবনসমূহ সজ্জিতকরণ, সড়ক ও সড়কদ্বীপে সৌন্দর্যবর্ধন ও আলোকসজ্জা । 
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরভবনে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্থানসমূহে এলইডি স্ক্রিনে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। সুবিধাজনক সময়ে জেলা ও উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পুস্তক ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হবে। উপজেলা পর্যায়েও অনুরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
খুলনা বিশ^বিদ্যালয় : দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৯টায় মিনিটে র‌্যালি, ৯টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব এ পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টায় শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আলোচনা সভা, দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া, কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রার্থনা, বিকেল ৫টায় মুক্তমঞ্চে পুরস্কার বিতরণ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রদীপ প্রজ্বলন এবং বিকোল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেট, মেইনগেট থেকে হাদী চত্বর পর্যন্ত রাস্তা, প্রশাসনিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, হলসমূহ এবং উপাচার্যের বাসভবন আলোকসজ্জা করা হবে।
খুলনা মহানগর আ’লীগ : যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে  সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান। সকাল সাড়ে ৭টায় র‌্যালি করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকেল সাড়ে ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে কেককাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া। 
খুলনা জেলা আ’লীগ : যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে সকাল ১০টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এ পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। বিকেল ৪টায় জেলা দলীয় কার্যালয়ে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া। প্রত্যেক উপজেলা আওয়ামী লীগকে জুম্মার নামাজের পূর্বেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকল কর্মসূচি সম্পন্ন করার নিদের্শনা দেওয়া হয়। 
খুলনা প্রেসক্লাব : দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টায় ক্লাব চত্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন। 
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন : দিবস উপলক্ষে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩ টায় খুলনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। 
মহানগর ও জেলা শ্রমিক লীগ : দিবস উপলক্ষে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৮টায় নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে র‌্যালি দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, ৯টায় নগর ও জেলা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া। 

্রিন্ট

আরও সংবদ