খুলনা | শুক্রবার | ৩১ মার্চ ২০২৩ | ১৭ চৈত্র ১৪২৯

খুলনা বিএনপি’র সমাবেশে ড. মঈন খান

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুট করেছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৩৪ এ.এম | ১৯ মার্চ ২০২৩


বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হলে আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোট পাবে না। সরকার সারাক্ষণ উন্নয়নের কথা বলে, অথচ জনগনের ভোটকে ভয় পায়। জনগনকে ভয় পায় বলেই দিনের ভোট রাতে করেছে। ৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে দেশের মানুষ আবারো গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে নেমেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা দাবিদার সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করছে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ আজ রক্তাক্ত। বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলসহ সবকিছুর মূল্য বাড়লেও সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য কমেছে। গত ৪ মাসে ১৭জন বিএনপি’র নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে সরকার। 
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 
সাবেক মন্ত্রী মঈন খান আরও বলেন, দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার চায়, ভোটের অধিকার চায়। রাষ্ট্র তিনটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। এক স্তম্ভের ওপর অন্য স্তম্ভ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমান বিনাভোটের সরকার সকল বিভাগকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তত্ত¡াবধায়ক সরকার আসলে নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করা হবে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে, সুপ্রীমকোর্ট দখলে নিলে কি সংবিধান লঙ্ঘন হয় না? ৯৬ সালে কেন তারা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন? মানুষের ভোটের জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
নগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, শেখ আবু হোসেন বাবু, খান জলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশীদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, ডাঃ গাজী আব্দুল হক, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চৌধুরী কাওসার আলী, আব্দুর রাজ্জাক, এড. মোমরেজুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, খায়রুল ইসলাম জনি, ওয়াহিদ হালিম ইমরান, বেগ তানভীরুল আজম, সাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, ইলিয়াছ হোসেন মলি­ক, কেএম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, মোঃ হাফিজুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, জহর মীর, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, এড. মোহাম্মদ আলী বাবু, খন্দকার ফারুক হোসেন, শেখ জামাল উদ্দিন, সরোয়ার হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম বাবু, আনসার আলী, আব্দুস সালাম, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, তারিকুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, মোঃ মুজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, ফারুক হোসেন, শামসুল বারী পান্না, আজিজা খানম এলিজা, সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, এমদাদ হোসেন, আব্দুল ওহাব, মোঃ নুরুল হক, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাভেদ মলি­ক, মশিউর রহমান লিটন, যুবদলের এবাদুল হক রুবায়েত, নেহিবুল হাসান নেহিম, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, তাজিম বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা তুহিন, তাঁতীদলের আবু সাঈদ শেখ, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদতার সজিব, মোল­া কবির হোসেন, শেখ আবু সাঈদ, মহিলা দলের এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন ও আনজিরা খাতুন প্রমুখ। শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ মোঃ জাহিদুর রহমান।
 

প্রিন্ট

আরও সংবাদ