খুলনা | শনিবার | ১০ জুন ২০২৩ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

আসছে রোজার মাস পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন

|
১২:০৩ এ.এম | ২৩ মার্চ ২০২৩


পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু হবে, তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়। পবিত্র রমজান মাস শুরু না হলেও বাজারে রমজানের উত্তাপ লাগতে শুরু করেছে আগে থেকেই। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। এক দফা দাম বেড়েছে শবেবরাতের আগে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই প্রচুর মজুদ আছে। এরপরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তির দিকে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে উলে­খ করা হয়েছে যে ‘দ্রব্যমূল্য কয়েক গুণ বেড়েছে। আয় কমে যওয়ার কারণে পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে ভোক্তারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় গতবারের তুলনায় এবার রোজায় ভোগ্য পণ্যের চাহিদা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম থাকবে।’ অন্যদিকে গণমাধ্যম প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় এ বছর ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা কম হচ্ছে। ইফতারে যে পণ্যগুলো না কিনলেই নয় সেগুলোও পরিমাণে কম কিনে চলার চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। আর ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার এখনই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে না ধরলে সংকট আরো বাড়বে। দেশে ভোগ্য পণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। ভোগ্য পণ্যের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি থাকায় চাহিদা কমে গেছে।
এটা ঠিক যে মধ্যবিত্ত পরিবার আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করতে পারছে না। ফলে ব্যয়ে কাটছাঁট করতে হচ্ছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ সংকটে আছে। নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যে কমেছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। জনজীবনে এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছে। অনেকেরই আশঙ্কা, রোজার মাসে এই সংকট আরো বাড়বে।
নানা উপলক্ষে আমাদের বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। দাম বাড়ানোর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ীদের কোনো উপলক্ষ্য লাগে না। ধর্মীয় উৎসব এলে তো কথাই নেই। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে দাম বাড়ান বলে অভিযোগ আছে। এবারও রোজার আগে ভোগ্য পণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর এবং অন্যান্য ফলমূলের রোজায় চাহিদা বাড়ে, এমন পণ্যের বাড়তি আমদানি হয়েছে। কিন্তু বাজারে তার প্রভাব নেই।
বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেও সংগঠিত নয়। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। কোনো কোনো সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এ প্রবণতা রোধে সরকারকে মূল ভূমিকা নিতে হবে। মনিটরিং বাড়াতে হবে। পণ্য যেন ভোক্তাসাধারণের কাছে সহজলভ্য হয়, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।

প্রিন্ট

আরও সংবাদ