খুলনা | শনিবার | ১০ জুন ২০২৩ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

২৭নং ওয়ার্ডকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার রফিকের

‘সেনা প্রধানের ভাই হলেও চাপ নেই যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:১১ এ.এম | ০৬ এপ্রিল ২০২৩


‘আমি সেনা প্রধানের বড় ভাই হলেও কোন চাপ নেই; যে কোনো প্রার্থী নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেই পারেন। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটদান করবেন।’ 
২৭নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভপতি এস এম রফিউদ্দিন আহমেদ রফিক এমনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। নির্বাচিত হলে তার নির্বাচনীয় এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছেন তিনি। গতকাল বুধবার সময়ের খবরকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ রফিক।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে আমাকে ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমিও কার্যক্রম শুরু করেছি। রমজানে ওয়ার্ডবাসীর সুপেয় পানির সংকট নিরসনে দশটি সাব-মার্সিবল বসিয়ে দিয়েছি। ওয়ার্ডবাসীর সার্বিক সহযোগিতার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শে ২৭নং ওয়ার্ডকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত আর্দশ ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলাই আমার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এছাড়া সুশৃঙ্খল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নারী ও বেকারদের কর্মসংস্থানের সহায়তা করবো।’
জানা গেছে, নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস। তার মধ্যে ভোটার প্রায় ২৪ হাজার। আর ভোট কেন্দ্র ১১টি। এই ওয়ার্ডের একদিকে খানজাহান আলী রোড, অন্যদিকে ২৮, ২৪নং ওয়ার্ড এবং অপর দিকে খাল, বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়নের অংশ। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। 
নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নগর আ’লীগের প্রচার সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডনকে পার্শ্ববর্তী ২৪নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী রফিক জানান, করোনাকালে ওয়ার্ডের এমন কোন পরিবার নেই, যারা আমার কাছ থেকে উপকৃত হয়নি। ওই সময় তাদের কোন কষ্ট বুঝতে দেয়নি। এলাকায় মাদক, ড্রেনেজ, জলাবদ্ধতা এবং সুপেয় পানির সঙ্কট ছিল। এর মধ্যে আমি সুপেয় পানির জন্য ১০টি স্থানে সাব-মার্সিবল পাম্প স্থাপন করে দিয়েছি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহায়তা প্রদান করেছি। সমাজে কাজ করতে গেলে কোন পদে না থাকলে সেই কাজ করায় অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। আমার বাবা আমৃত এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যান বলেই পরিচিত ছিলেন। ফলে এখন আমার মনে হয় জনসেবার করার সময় এসেছে। এছাড়া জনগণ আমাকে চায়। এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের চাহিদা এবং আগ্রহের কারণে আমার নির্বাচনে আসা। এলাকার মানুষ কেউ খাওয়া-পরা চায় না। তারা নিরপাদ পরিবেশ, ভাল অবস্থা, চায় উন্নয়ন। এই এলাকায় একটি খেলার মাঠ নেই। আমি একটি খেলার মাঠ তৈরি করতে চাই। যার মাধ্যমে সকলকে ক্রীড়ামুখী করবো, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত যুবসমাজ গড়ে তুলবো। এলাকাবাসীকে বলতে চাই সঠিক জায়গায় ভোট দেবেন, সঠিক লোক নির্বাচন করবেন। আমি নির্বাচিত হলে আমার বাবার মতো তাদের সেবা করবো ইনশাআল­াহ!
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন কেসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ওয়ার্ডে আরও সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর কে এম হুমায়ুন কবীর, মশিউর রহমান যাদু, মোঃ সাইফুল ইসলাম মোল­া ও শেখ বায়জিদ হোসেন।

প্রিন্ট

আরও সংবাদ