পরিশোধিত চিনির দাম সমন্বয় করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খোলা চিনির দাম প্রতি কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দামও প্রতি কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন দাম আগামীকাল শনিবার থেকে কার্যকর হবে। 
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-নিয়ন্ত্রক মোছাঃ শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স-এর ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ২৭ মার্চের আবেদন পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পরিশোধিত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় করা হলো।’ 
গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ) প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আজকের বাজারদরের তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকার বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৫ টাকা। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ থেকে ১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, নিয়ন্ত্রিত সরবরাহের কারণে দেশের বাজারে কয়েক মাস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। সমস্যা সমাধানে বাজার স্বাভাবিক করতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে গত জানুয়ারিতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপরই এনবিআর শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেয়। এনবিআর চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনিতে ৬ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এ সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।