খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

নাজাতের দশকে কি করবো?

মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে |
০১:৩৪ এ.এম | ১৩ এপ্রিল ২০২৩


আজ ২১ রমজান। পবিত্র মাহে রমজানের নাজাতের দশকের আজ প্রথম। এখন আমরা নিজে নিজেই হিসাব করি যে পবিত্র রমজান মাসে বিগত দিন গুলোতে আমরা কি অর্জন করলাম। হাজারো পাপে ভরা আমলনামা কি নেকীর দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছে? যদি না হয়, তাহলে তো আমাদের মত হতভাগা কেউ নেই। কারণ আল­াহর রসুল (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই মাসে মাগফিরাত লাভ করতে পারল না সেই প্রকৃত হতভাগা।  মহিমান্বিত এই মাস যে বার্তা আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিল তার কতটুকু আমাদের জিন্দেগীতে  প্রতিফলিত হলো।  ভাল ছাত্র মাত্রই পরীক্ষার আগ মুহূর্তে হিসাব-নিকাশ করে আর নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করে, প্রস্তুতি সব ঠিক ঠাক তো? কতটুকু পড়লাম আর কতটুকু বাকি? ব্যবসায়ী বা দোকানদার  দিনের শেষে অংক কষতে বসে, কতটুকু লাভ হলো আর কি পরিমাণ লোকসান হলো? যদি লোকসান হয় কিংবা লাভ কম হয় তাহলে পরিকল্পনা করে, কিভাবে আগামীতে আরও বেশী বেশী লাভ করা যায়। রমজানও এসেছে আখেরাতের এক মহান ব্যবসা নিয়ে। লাভের পরিমাণও ঘোষনা করা হয়েছে ন্যূনতম সত্তর গুণ, উর্ধ্বে অগণিত, মহান আল­াহর শান অনুযায়ী। বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের পসরা নিয়ে পবিত্র এই মাস মেহমান হয়ে এসেছে আমাদের আঙ্গিনায়। আমরা কি তার ঠিকমত সমাদর করতে পেরেছি? রোজার সমস্ত আহকাম কি আমরা ঠিকমত আদায় করতে পেরেছি এবং দয়ালু মাওলার সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিজেকে আনার মত যোগ্য বানিয়েছি?  মাগফিরাতের দশক একেবারে শেষের পথে। আর দেরী না করে এখনই  এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খোঁজা উচিত। যদি উত্তর হ্যাঁ বাচক হয় তাহলে আল­াহর শুকরিয়া আদায় করি, আর যদি না বাচক হয় তাহলে মহান আল­াহর কাছে চোখের পানি ফেলে মাফ চাই। নিজ পাপের জন্য অনুশোচনা করি এবং ভবিষ্যতে  পাপ না করার ওয়াদা করি। কারণ আল­াহ তায়ালা তো গফুরুর রহীম, তিনি সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিতে পারেন, এতে কারো অভিযোগ উঠানোর এখতিয়ার নেই। মহান আল­াহপাক নিজেই পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল­াহ তোমাদের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন (সুরা যুমারঃ আয়াত ৫৩)। তাই আসুন আর দেরী না করে বাকি দিন গুলোতে মহান আল­াহর কাছে চোখের পানি ফেলে দোয়া করি যাতে তিনি আমাদের সমুদয় গোনাহরাশি মাফ করে দেন। কবির ভাষায় বলতে হয়, “শোন মুুমিন-মুসলমান/ কেঁদে কেঁদে বল-, ভুল করেছি মাফ করে দাও/ ফেলিস চোখের জল”। লেখক: আরবী সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস, জামি’য়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলূম, বাগমারা, খুলনা।
 

্রিন্ট