খুলনা | শনিবার | ১০ জুন ২০২৩ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

৭ বছরে রিজার্ভ সর্বনিম্ন

খবর প্রতিবেদন |
১১:০৬ পি.এম | ০৮ মে ২০২৩


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। ডলার সংকটের সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। সোমবার (৮ মে) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি বিল ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের ফলে রিজার্ভ আরও কমে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত ৭ বছরে সর্বনিম্ন। এর আগে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী যদি রিজার্ভ হিসেব করা হয়, তাহলে ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ এই হিসাব থেকে কমে যাবে। সেই হিসাবে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ৮ মে আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা আকু’র (মার্চ-এপ্রিল) আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। ফলে এদিন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি ডলারে (২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন)।

আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর আকুর সদস্যভুক্ত দেশের মধ্যে রয়েছে— ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তান। শ্রীলংকার অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় তারা আকু থেকে বেরিয়ে গেছে। সদস্য দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আকুর আমদানি বিল পরিশোধ করে থাকে।

আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় কমেনি। এছাড়া করোনার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে, যা দিন দিন বাড়ছে। তবে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে রিজার্ভ। ওই অর্থবছরের শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ৭ বছর পর আবারও ২৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসছে রিজার্ভ।

প্রিন্ট

আরও সংবাদ