খুলনা | শনিবার | ১০ জুন ২০২৩ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বড় ব্যবসায়ীরা মানি লন্ডারিং করেন: এবিবি চেয়ারম্যান

খবর প্রতিবেদন |
০৩:১৩ পি.এম | ২২ মে ২০২৩


অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, দেশে ট্রেডের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং কমেছে। বড় বড় ব্যবসায়ীরা মানি লন্ডারিং করেন। কিন্তু নানা পদক্ষেপে ফল পাওয়া গেছে। দেশে রেমিট্যান্স বাড়ছে। অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। আজ সোমবার (২২ মে) রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক খাতের সংকট কিছুটা কেটেছে। তবে আমরা সংকট থেকে এখনো পুরোপুরি উত্তরণ হতে পারিনি। সংকটের মধ্যেও কোনো ব্যাংকের আমানতকারী টাকা তুলতে পারেনি এমন হয়নি। তারল্য ব্যাংক খাতের কোনো চ্যালেঞ্জ না, সে সংকটও দূর হয়েছে।’

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ না করলে সমাধান করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দর বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়ায় বেশ কয়েকটা ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছিল এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে জবাব চেয়েছিল, পুরোনো বিষয় সেটার সমাধান হয়েছে।  

রেমিট্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে হবে। প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে ভালো সুবিধা পান না, তাঁদের কোনো ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়, দক্ষ করা হয়। যা আমাদের দেওয়া হয় না। এতে প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে পড়ছেন।’

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে। এখন ডিপোজিট বেড়েছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা করা হয়েছে। আমাদের তারল্য সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছিল তবে এখন অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। পুরো ব্যাংক খাতে এখন অতিরিক্ত এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।’

প্রিন্ট

আরও সংবাদ