খুলনা | শনিবার | ১০ জুন ২০২৩ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

হাত-পা বেঁধে নির্বাচনে ডাকছে সরকার: মির্জা ফখরুল

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০৮ পি.এম | ২২ মে ২০২৩


দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে তাতে অংশ নেওয়ার কথা বলছে সরকার—এমন অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারা (সরকার) ভোট চাইতে শুরু করেছে আর বলে যে নির্বাচনে আসেন। কীভাবে আসবে নির্বাচনে। হাত-পা বাঁধা, মুখ বন্ধ। কীভাবে নির্বাচনে যাবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর বনানীর টিউলিপ হোটেলে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘ইতিমধ্যে খেলা শুরু করেছ, সব তো গ্রেপ্তার করছ, নেতা-কর্মীদের আটকে দিচ্ছ, উৎপীড়ন করছ, নির্যাতন করছ। ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা। একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল কীভাবে কাজ করবে? ন্যূনতম পরিবেশ তো দরকার হবে। সে রকম কিছুই নাই। হাত-পা বেঁধে বলে নির্বাচন করতে।’

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এবার বাংলাদেশের মানুষ পাতানো নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে করার নির্বাচনে আর পা দেবে না। বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘একদিকে বলছে, আমরা (সরকার) নির্বাচন খুব সুন্দর করব। আমেরিকাকেও বলে এসেছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও বলেছে নির্বাচন খুব ভালো হবে। আর এদিকে কী করছে? গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মজনুকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। শুধু তা-ই নয়, আমরা যখন থেকে আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেছি, তখন বিভিন্ন জেলায় পুলিশ আক্রমণ করেছে। পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করছে।’

গোটা বাংলাদেশকে তারা লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরও পাঁচ বছর তারা লুট করতে চায়—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকা। তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে পুলিশ, র‍্যাব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এমনকি বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’

চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এখন আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আজকে মানুষকে সংগঠিত করতে হবে, সামনে নিয়ে আসতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।’

প্রিন্ট

আরও সংবাদ