খুলনা | রবিবার | ০১ জুন ২০২৫ | ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন

|
১২:২৭ এ.এম | ০৮ জুন ২০২৩


বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে লাওস-ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে দাবদাহ চলছে। এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা প্রায়ই ৪০ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। বছরের এ সময়ে তাপমাত্রা বাড়লেও বাংলাদেশ-নেপাল-মিয়ানমারসহ অনেক দেশেই তাপমাত্রা অন্তত আরও ৮-১০ ডিগ্রি কম থাকে। তা ছাড়া এ অঞ্চলে এ সময় মাঝে মধ্যেই বৃষ্টিপাত ও ঝড় হয়ে থাকে। এসবের পরিমাণ এ বছর খুবই কম হচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা কমছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন-বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের যে পূর্বাভাস ছিল, তা বাস্তবেই এখন ঘটে চলেছে। এ সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো দেশ এ সমস্যার সমাধানে সফল হবে না। এখন প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমন্বিত কর্মসূচি প্রণয়ন।
পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস থেকে আমরা জানি যে, এই গ্রহে মাঝে মধ্যে হিমযুগ আসে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ছয় হাজার বছর পর পর এমন ঘটনা ঘটে। আর হিমযুগের আগে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তা পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। বহুপ্রাণি এসময় বিলুপ্ত হতে থাকে। বর্তমান পৃথিবীতে উদ্ভিদ ও প্রাণি মিলিয়ে বহু প্রজাতির বিলোপ ঘটছে। নানা কর্মসূচি নিয়ে এবং বিপুল অর্থ ব্যয় করে হয়তো কোনো কোনো প্রাণির বিলুপ্তি ঠেকানো যায়। কিন্তু অধিকাংশের ক্ষেত্রে তা সফল হচ্ছে না। মোট কথা, আসন্ন বৈশ্বিক সংকটের আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে এ সময় এই গ্রহের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা বিনিময়, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক উদ্যোগের বিকল্প নেই। অথচ আজকের দিনেও পৃথিবীতে দেশে দেশে হানাহানি, সংঘাত, যুদ্ধ ও অশুভ প্রতিযোগিতা চলছে। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের জের থেকে পরিত্রাণ আরও কঠিন হবে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গাছ লাগানোর কথা বলেছেন। গাছ বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে, তাপমাত্রা অনেকাংশে কমায়। কিন্তু আশুসংকট মোকাবিলায় কেবল এটুকু করলে যথেষ্ট হবে না। আবারও আমরা বলব, একমাত্র বৈশ্বিক উদ্যোগেই এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সরাসরি দায়ী। তাই উচিত হবে এ কাজে তাদের অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ। কেবল জলবায়ু তহবিলে চাঁদা দিলেই হবে না, উষ্ণায়নের জন্য দায়ী সব প্রকল্প, প্রযুক্তির ব্যবহার হ্রাস ও বন্ধ করতে হবে। আমরা তীব্র গরমের মধ্যে এমন বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রত্যাশা করছি।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ