খুলনা | সোমবার | ১২ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

দুর্নীতির নানা অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের ১৪ পৌরসভায় সিবিআইয়ের অভিযান

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৫ এ.এম | ০৮ জুন ২০২৩


কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পশ্চিমবঙ্গের ১৪ পৌরসভায় আজ বুধবার তল­াশি চালিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ অভিযান চলে।
বুধবার সকালে সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে তল­াশি অভিযান শুরু করে। রাজ্যের ৬০টি পৌরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে ওই সব পৌরসভার পাঁচ হাজার চাকুরি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে। আর এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তৃণমূল নেতা অয়ন শীল। তিনিই পৌরসভার চাকরি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন।
এই অভিযোগ পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করে তাঁর হুগলির চুঁচুড়ার অফিস তল­াশি করে। ইডি নিয়োগকৃত প্রার্থীদের খাতা উদ্ধার করে। তারা জানতে পারে, এই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে অয়ন শীল চাকুরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ৪০ কোটি রুপি অবৈধভাবে আদায় করেন। মামলাটি কলকাতার হাইকোর্টে উঠলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই পৌর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশ বলে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি পৌরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জন্য সিবিআই হানা দেয়। এ হানায় সিবিআই টিমের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও।
বুধবার অভিযান চালানো হয় শান্তিপুর, চুঁচুড়া, সল্ট লেক, পানিহাটি, নিউবারাকপুর, দমদম, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, টিটাগড়, হালিশহর, কাঁচরা পাড়া, কামারহাটি, বরাহনগর, টাকি পৌরসভায়। সিবিআই নিয়োগকৃত কর্মীদের চাকুরি সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করে, সংগ্রহ করে চাকুরি পরীক্ষার খাতা ও নম্বরপত্রও। সিবিআই গতকাল সল্ট লেকের নগর উন্নয়ন দপ্তরেও অভিযান চালায়।
সিবিআইয়ের এই তল­াশি অভিযানের সমালোচনা করেছেন কলকাতার মেয়র তথা নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, ‘পুরোটাই রাজনীতি। ত্রাস তৈরির চেষ্টা।

্রিন্ট

আরও সংবদ