খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

সুজনের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

সকল দলের অংশগ্রহণ না হওয়ায় নিরপেক্ষ হলেও গ্রহণযোগ্য হবে না কেসিসি নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:১৭ এ.এম | ০৯ জুন ২০২৩


সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করায় শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলেও খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন সর্বজন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবুও অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্যে সরকার, নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী ও জনগণের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে সংগঠনটি। এ সময় কেসিসি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করে হলফমানায় প্রার্থীদের আয়ের হিসাব সঠিক নয় বলে অভিযোগ করে সুজন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উলে­খ করেন, ৩১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটারের খুলনা সিটি কর্পোরেশনে আগামী ১২ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন; অর্থাৎ তিনটি পদে সর্বমোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ১৩নং সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থী এস এম খুরশিদ আহাম্মেদ টোনা এবং ২৪ নং সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থী জেড এ মাহমুদ ডন বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও ১৯নং ওয়ার্ডের প্রার্থী শেখ মোঃ আরিফুজ্জামানের তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া না যাওয়ায় ১৭৯ জন প্রার্থীর বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো। কেসিসি’র ৫ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে একজনের (২০%) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ২ জনের (৪০%) ¯œাতক এবং ২ জনের (৪০%) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র নিচে। স্নাতকোত্তর স¤পন্ন করা মেয়র প্রার্থী হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ আঃ আউয়াল, স্নাতক স¤পন্ন করা দুইজন মেয়র প্রার্থী হলেন-আ’লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে উলে­খ করেছেন স্বশিক্ষিত। মোট ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া ১৩৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৬ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র নিচে, ২২ জনের এসএসসি, ৩২ জনের এইচএসসি, ৩২ জনের স্নাতক এবং ১১ জনের স্নাতকোত্তর। মোট ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র নিচে, ৬ জনের এসএসসি, ৮ জনের এইচএসসি, ১০ জনের স্নাতক এবং দু’জনের স্নাতকোত্তর। স্নাতকোত্তর স¤পন্ন করা ২ জন হলেন সংরক্ষিত ৭নং ওয়ার্ডের খাদিজা আক্তার এবং সংরক্ষিত ৯নং ওয়ার্ডের মাজেদা খাতুন। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার কমেছে। স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার হ্রাস পাওয়া এবং উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীর হার বৃদ্ধি পাওয়া ইতিবাচক। তবে ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়ীদের আধিক্য এবং অন্যান্য পেশার প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পাওয়া ইতিবাচক নয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে, এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্ব›িদ্বতার হার গতবারের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৩৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪৯ জন আয়কর প্রদান করেছেন। ৩৯ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে আয়কর প্রদান করেছেন ১০ জন। ৩টি পদের সর্বমোট ১৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬১ জন কর প্রদান করেছেন। বিগত নির্বাচনের চেয়ে আয়কর প্রদানকারীর হার হ্রাস পেয়েছে। এই প্রবণতা মোটেও ইতিবাচক নয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজন বিভাগীয় সমন্বয়ক মাসুদুর রহমান রঞ্জু, জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, সম্পাদক এড. কুদরত ই খুদা, নগর কমিটির সম্পাদক অধ্যাপিকা রমা রহমান, খালিশপুর কমিটির সভাপতি ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু ও সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ