খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

ওজোপাডিকো বরাবর স্মারকলিপি প্রদান জেলা বিএনপি’র

অবর্ণনীয় লোডশেডিং বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে না পারলে পদত্যাগ করুন

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৩১ এ.এম | ০৯ জুন ২০২৩


খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ দিয়ে এ সরকার ফৌজদারী অপরাধ করেছে। সে জন্য এই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত। এরা জনগণের দুশমন বলেই বিদ্যুতের মতো অতি আবশ্যকীয় একটি খাতকে চুরির খনিতে পরিণত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনকে বরবাদ করে আমজনতার মৌলিক নাগরিক চাহিদার সমাধানের পথে না গিয়ে মেগা প্রজেক্টের প্রতি অতি আগ্রহের প্রতিফলনই হলো বর্তমান দুর্বিষহ লোডশেডিং। অবর্ণনীয় লোডশেডিং বন্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। 
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বয়রাস্থ ওজোপাডিকো লিঃ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। পরে খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পীর নেতৃত্বে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে উলে­খ করা হয়েছে, জৈষ্ঠ্যের খরতাপে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এর ওপর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। চাহিদার তুলনায় ৩০/৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে পল­ী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। গ্রামগঞ্জের মানুষ ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২/১ ঘন্টা বিদ্যুৎ পায়। মফস্বল শহরগুলোতে রাতে দু’ঘন্টার বেশী বিদ্যুৎ থাকে না। দিনের বেলাও অধিকাংশ সময় লোডশেডিংয়ে আচ্ছন্ন থাকে। প্রচন্ড গরম ও যানবাহনের ধুমায়িত হয়ে যেন গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। এখানেও দিনে-রাতে ৬/৭ ঘন্টার বেশী বিদ্যুৎ থাকে না। মানুষের বসতবাড়িতে সীমাহীন দুর্ভোগের পাশাপাশি বিদ্যুতের অভাবে ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বৃহৎ শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ও পর্যায়ক্রমে সেগুলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর চেইন রি-এ্যাকশনে ক্রমাগতভাবে কর্মহীন হবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনকে প্রাইভেট কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প দেয়া হয়েছে। তাদের বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বানানোর জন্য এসব প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়। যাদের মধ্যে কেউ সিঙ্গাপুরে গিয়ে সর্বোচ্চ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। অথচ জনগণের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে কেবলমাত্র এই খাতে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উপরে পরিশোধ করা হচ্ছে। এই লুটপাটের পরিণতিই হচ্ছে অভাবনীয় লোডশেডিংয়ের আত্মপ্রকাশ। লোডশেডিংয়ের বর্তমান দুর্বিষহ পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সরকারের গণবিরোধী নীতিই দায়ী। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। সরকার সবসময় বড় গলায় উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের কথা বলে এসেছে। পরিবেশ ও মানুষের অস্তিত্বের কথা বিবেচনা না করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির নামে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তাহলে আজ কেন এতো অসহনীয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু, কাজী মাহমুদ আলী, এসএম শামীম কবির, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, মনিরুজ্জামান লেলিন, খন্দকার ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, সাইদুজ্জামান খান, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, শামসুল বারিক পান্না, মোল­া সাইফুর রহমান, নগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নেহিবুল হাসান নেইম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান সান্টু, নাদিমুজ্জামান জনি, মোল­া কবির হোসেন, উজ্জ্বল কুমার সাহা, খান ইসমাঈল হোসেন, শেখ হেমায়েত হোসেন, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, শাহিন শেখ, এসএম সরওয়ার, শরিফুল ইসলাম বাবুল, হাফেজ জাহিদুর রহমান, মাসুম বিল­াহ, শফিক, মাস্টার আমিরুল ইসলাম, শফি খান, দিদার হোসেন, কবির শেখ ও হিরণ প্রমুখ।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ