খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

লাভ বেশি হওয়ায় ডুমুরিয়ায় কন্দাল ফসল চাষে ঝুঁঁকছে কৃষকেরা

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি |
১১:২১ পি.এম | ০৯ জুন ২০২৩


ডুমুরিয়ায় দিন দিন কন্দাল ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। একই জমিতে একাধিক ফসল, উৎপাদন খরচ কম ও স্বল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন হওয়ায় বেশ লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা। একদিকে অধিক লাভজনক, অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তৎপরতা এর অন্যতম কারণ বলে দাবি কৃষকদের। 
সফল চাষী ও কৃষি অফিসের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময়ে গ্রামের ঘরে ঘরে কন্দাল ফসল বেশ চাষাবাদ হতো। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভিটে ডাঙ্গা জমির উপর জন বসতি গড়ে উঠায় কন্দাল জাতীয় ফসল চাষাবাদ কমতে থাকে। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় গ্রামীণ এ ফসলকে আধুনিক ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধি চাষাবাদের লক্ষ্য নিয়ে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাপক হারে প্রদর্শনী, কৃষক প্রশিক্ষণ ও বিভিন্নভাবে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর ব্লকে কৃষক অলিয়ার রহমান শেখ এ বছর মাত্র ২০ শতক জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করে ৩০ মণ আলু পেয়েছে। এতে খরচ বাদে ১৮ হাজার টাকা লাভ পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া পরবর্তীতে সে কাটিং সংরক্ষণ করে এবং নিজ উপজেলাসহ তালা উপজেলায় কাটিং বিক্রি করে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা আয় করেন। তাছাড়া এলাকার ১৫-২০জন কৃষককে কাটিং স¤প্রসারণ করেছেন। কৃষক অলিয়ার রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী করুনা মন্ডলের মাধ্যমে মিষ্টি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বল্প পরিসরে মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করি। স্বল্প খরচে ভাল ফলন ও ভাল দাম পেয়ে আমি খুশি। তার এ দেখা দেখি অনেকে মেটে আলু চাষে আগ্রহ হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার রংপুরের ওলকচু চাষি রামকৃষ্ণ মন্ডল মাগুরাঘোনার মুখী কচু চাষি আজিজুর রহমানসহ শোভনা, বরাতিয়া, আরশনগ, মাগুরাঘোনা, আটলিয়া, খর্ণিয়া এলাকায় ব্যাপক হারে কন্দাল ফসল চাষ শুরু হয়েছে। 
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুনা মন্ডল বলেন, কৃষি আমাদের সম্পদ, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে কন্দাল জাতীয় ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। এতে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবে। পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এক সময়ে গ্রামীণ জনপদে ব্যাপকহারে মেটে আলুর চাষ হতো। কৃষকরা ঠিকমতো দাম না পাওয়ায় অন্য চাষে দিকে ঝুঁকে পড়ে।  কৃষি বান্ধব সরকার কন্দাল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের উজ্জ্বীবিত করেছে। এ চাষে কৃষকরা ব্যাপক হারে লাভবান হচ্ছে। এ বছর উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। মিষ্টি আলু বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের প্রতিনিয়ত মোটিভেশন করা হচ্ছে।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ