খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিএনপি থেকে আ’লীগে যোগদানকারী ৮ কাউন্সিলরের পাঁচজনই পরাজিত

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:১৭ এ.এম | ১৩ জুন ২০২৩


২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন ৮ হেভিওয়েট কাউন্সিলর। এর মধ্যে মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ আ’লীগের বিভিন্ন দায়িত্বও পেয়েছেন তাদের কেউ কেউ। তবে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে হেভিওয়েট সেই কাউন্সিলরদের পাঁচজনই পরাজিত হয়েছেন। 
অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে অংশ নেয়ায় ৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করে বিএনপি। সে হিসেবে দুই কূলই হারালেন নগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির আজীবন বহি®কৃত সদস্য সদ্য হেভিওয়েট কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন ও ২২নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার। বিএনপি’র ভোট ব্যাংক বলে খ্যাত এসব এলাকায় বিগত দিনে আ’লীগ কখনই জিততে পারেনি।
সূত্রমতে, খুলনার রাজনীতিতে বিএনপি’র ভোট ব্যাংক বলে খ্যাত ওয়ার্ডগুলোতে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। সর্বশক্তি নিয়েও প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা বার-বার পরাজিত হন। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন ও চাপ প্রয়োগ এসব ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দলে ভিড়ানো হয়। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন অধিকাংশই।
আ’লীগে যোদানকারী কাউন্সিলররা হলেন ২নং ওয়ার্ডের একাধিকবার বিজয়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডের শামসুদ্দিন প্রিন্স, ৭নং ওয়ার্ডে তিনবারের মত বিজয়ী সুলতান মাহমুদ পিন্টু, ৮নং ওয়ার্ডে মোঃ ডালিম হাওলাদার, ১২নং ওয়ার্ডে দু’বারের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনি, ১৬নং ওয়ার্ডের চারবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মোঃ আনিছুর রহমান বিশ^াস, ১৭নং ওয়ার্ডের ৬ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ২০নং ওয়ার্ডের পাঁচবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর শেখ গাউসুল আযম। এরমধ্যে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামসুদ্দিন প্রিন্স, ১৭নং ওয়ার্ডের শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ২০নং ওয়ার্ডের শেখ গাউসুল আযম ছাড়া বাকিরা পরাজিত হয়েছেন। 
তবে ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজুল হাসান রাজু ১৮ নম্বরে এবং জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সদস্য সচিব জাকির হোসেন বিপ্লব ১৯ নম্বরে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দু’জনেই এখন আ’লীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত।
অন্যদিকে গত ৩ জুন বিএনপি থেকে আজীবন বহিস্কৃতরা হলেন নগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন ও আশফাকুর রহমান কাকন, নগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ মাহবুব কায়সার, সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ আমান উল­াহ আমান, সংরক্ষিত ৯নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপি’র সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, ৯নং ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো, ১৪নং ওয়ার্ডে মুশফিকুস সালেহীন পাইলট, মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম-আহবায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র মাজেদা খাতুন ব্যতীত কেউ নির্বাচিত হতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট মিউনিসিপ্যাল থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তর হয় খুলনা নগরী। এরপর ৩৩ বছরের মধ্যে ২২ বছরই নগর পিতার চেয়ারে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতারা। কেসিসি’র বিগত পাঁচটি নির্বাচনের তিনটিতেই জয়ী হয় জাতীয়তাবাদীরা। অন্য দু’টিতে ছিল তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তে এবারই বিএনপি’র কেউ প্রার্থী হননি।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ