খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

‘ছোট শিশুরাই ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে’

ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু, একদিনে সর্বোচ্চ ২২৪২ রোগী ভর্তি

খবর প্রতিবেদন |
১২:৪৭ এ.এম | ২৩ জুলাই ২০২৩


দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে (শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ২৪২ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১২০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে চলতি জুলাই মাসে। 
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৩৯ জন। বাকি ১ হাজার ৩ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই সময়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন ঢাকার বাসিন্দা ও ২ জন ঢাকার বাইরের। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সেদিনের ডেঙ্গুর প্রতিবেদনে ঢাকার ৩৫টি হাসপাতালে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর তথ্য যুক্ত করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬ হাজার ৬৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮৩৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৮১৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৮ হাজার ৮৮৫ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১১ হাজার ৮০০ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩ হাজার ৮৬২ জন। ঢাকায় ১৪ হাজার ৯১৫ এবং ঢাকার বাইরে ৮ হাজার ৯৪৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা যান গত বছর, ২৮১ জন। এর আগে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। এ ছাড়া ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন।
ডেঙ্গু রোগীর চাপ : চলতি বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গু নিয়ে শিশুরা ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে। প্রথম দিকে শিশুর সংখ্যা কমই ছিল। তবে জুন মাস থেকে হাসপাতালটিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। জুনে ৬৩টি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত  শিশু এখানে ভর্তি হয়। আর জুলাইয়ের প্রথম ১৮ দিনেই ভর্তি হয়েছে ১৭২টি শিশু।
চাপ বাড়ায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। তাতেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৪২ আসন বিশিষ্ট ২ নম্বর ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের জন্য বরাদ্দ দেয় হাসপাতালটি। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। তাই ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া অন্যান্য ওয়ার্ডেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে।
রোগী বাড়ায় মৃত্যুও বেড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে শিশু হাসপাতালে তিনটি শিশু মারা গেছে। গত মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুতে ভরা ২ নম্বর ওয়ার্ড। সব শিশুর জন্যই শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুদের সামলাতে বাবা-মায়েরা অস্থির সময় পার করছেন।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর চাপ এখন পর্যন্ত আমরা সামলাতে পারছি। রোগীর চাপ আরও বাড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

্রিন্ট

আরও সংবদ