খুলনা | রবিবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সাবেক সংসদ সদস্য ও উপন্যাসিক পান্না কায়সার আর নেই

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০৪ পি.এম | ০৪ অগাস্ট ২০২৩


না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেণ্য লেখক এবং গবেষক শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার।

আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

অধ্যাপক পান্না কায়সার শহিদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লা কায়সারের সহধর্মিণী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।

অভিনেত্রী শমী কায়সার মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তার অবদান অপরিসীম।

পান্না কায়সারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একনজরে শহীদজায়া পান্না কায়সার
রাজনীতিবিদ শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর করা এই উপন্যাসিক শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল সময়কালে শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তার জীবনের প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এরপর তিনি আর ফেরেননি। তারপর থেকে পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।

সংসার জীবনে আবদ্ধ না থেকে পান্না কায়সার দায়িত্ব নিয়েছেন লাখো কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর একাংশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতিও।

১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। এছাড়াও ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন পান্না কায়সার।

্রিন্ট

আরও সংবদ