খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

বাজার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে কঠোর হোন

|
১১:৪৮ পি.এম | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩


নিত্যপণ্যের বাজার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাজারে চাল, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’ দায়ী, এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। স¤প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীও জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেক মনোপলি ব্যবসাদার বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ায়, এটা সত্য। তবে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণে সরকার আগে কি ব্যবস্থা নিয়েছে। আদৌ কি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে?  
স¤প্রতি দেশের নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, চিনি ও ভোজ্য তেলের দর নির্ধারণ করে দেয়। এবারই প্রথমবারের মতো তিনটি কৃষিপণ্য ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী এখন থেকে ডিম প্রতিটি ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা, খোলা তেল ১৪৯ টাকা এবং প্রতি কেজি পাম অয়েল ১২৪ টাকায় বিক্রি হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেই মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা রোধ করা যাবে? যে কারণে বাজারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে সেসব রোধে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে? তবে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে এবং পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা যেন কোনোভাবে বাঁধাগ্রস্ত না হয়, সরকারকে সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে বলে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত। 
এটা তো ঠিক যে দেশে এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় বড় প্রতিবন্ধক মূল্যস্ফীতি। এর প্রভাব গরিব মানুষের ওপরই বেশি পড়ে। কারণ তাদের আয়ের বড় অংশই চলে যায় খাদ্যপণ্য কিনতে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বয়। সে দক্ষতা সরকারকেই দেখাতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ