খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

প্রকল্পের নামে লোপাট কোটি কোটি টাকা জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করুন

|
১২:২৮ এ.এম | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩


সরকারি প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। এতে দেখা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে দীর্ঘসূত্রতা ও ব্যয় বৃদ্ধির নামে লুটপাট করা হচ্ছে। কোনো প্রকল্প নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ হয় না। গতকাল আমাদের সময়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যানারে সরকারের কোটি কোটি টাকা যাচ্ছেতাইভাবে লোপাটের চাঞ্চল্যকর কান্ড ঘটেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ রীতিমতো লুট করেছেন। প্রকল্পে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সরঞ্জাম কেনাকাটা করে অতিরিক্ত টাকা তুলে নেওয়াসহ নানা রকমের দুর্নীতি উঠে এসেছে। শুধু এ প্রকল্পগুলো নয়, নয়ছয় করে আরও অনেক প্রকল্পে সময় ও অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সব কাজের পরিকল্পনা করা হয় জনগণের স্বার্থে কিংবা অন্তত কাগজ-কলমে জনস্বার্থের কথা বলে। যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তাও জনগণের। বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও এর বোঝা এ দেশের জনগণকেই টানতে হয়। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির ফলে জনগণ শুধু সেবা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে না, তার কষ্টার্জিত করের টাকারও অপচয় হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ চর্চাই চলে আসছে। এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদমাধ্যমে বিশদ তথ্য-উপাত্তসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অথচ কোনো প্রতিকার হয় না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দায়ে সংশ্লিষ্টদের শান্তি হওয়া দূরে থাক, জবাবদিহিরও মুখোমুখি হতে হয় না। আমরা চাই না সরকারি অর্থের এই অপচয়ের ধারা অব্যাহত থাকুক। প্রকল্পের ধীরগতিচর্চা থেকে বের হয়ে আসতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। প্রকল্পের নামে দুর্নীতি করে অর্থ লুটপাট বন্ধ হোক এবং এই প্রকল্পে যারা অর্থ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত, তাদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে। এমনটাই প্রতাশা।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ