খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

‘পাটকল চালু ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে আর প্রতিবাদ নয়, এবার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে’

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৪৬ এ.এম | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩


রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু, খালিশপুর-দৌলতপুরসহ ৫টি জুটমিলের শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় গেজেট অনুযায়ী সকল বকেয়া পরিশোধ ও রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলের শ্রমিকদের সকল বকেয়া সঠিক হিসাব অনুযায়ী প্রদানের দাবিতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় খালিশপুরের দৌলতপুর জুটমিল গেটের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টা চালায়। পুলিশ প্রশাসনের ভ‚মিকা ছিল নরম। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সাধারণ শ্রমিকরা এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে। কিছু সময় পরে নাগরিক পরিষদের নির্ধারিত কর্মসূচি পালিত হয়। দৌলতপুর জুটমিল গেট থেকে নাগরিক পরিষদের এক বিক্ষোভ মিছিল খালিশপুর শিল্পাঞ্চেলর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খালিশপুর জুটমিল গেটের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
নাগরিক পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে এবং বাসদ জেলা আহবায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  
বক্তৃতা করেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এস এ রশীদ, গণসংহতি আন্দোলন জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, সিপিবি ফুলতলা উপজেলা সভাপতি গাজী আফজাল হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের ফুলতলা উপজেলা আহŸায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান শেখ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, খালিশপুর-দৌলতপুর জুটমিল যৌথ কারখানা কমিটির সভাপতি ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন মনি, নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসেদ আলম শমসের, খুলনা-যশোর আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক মোঃ ইলিয়াস হোসেন, দৌলতপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, যৌথ কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, প্লাটিনাম জুটমিল শ্রমিক নেতা মোঃ নূরুল ইসলাম, কার্পের্টিং শ্রমিক নেতা জামাল মোল­া, জেজেআই শ্রমিক নেতা সামস সারফিন সামন, ক্রিসেন্ট জুটমিলের শ্রমিক নেতা মোশারেফ হোসেন প্রমুখ। 
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকার বাধ্য হয় এসব পাটকল শ্রমিকদের কিছু পাওনা পরিশোধ করতে। এখনও অব্দি খালিশপুর ও দৌলতপুরসহ ৫টি পাটকলের টাকা কোন শ্রমিক একটি টাকাও পায়নি। নানাভাবে তাদের টাকা প্রদানে টালবাহানা করছে। এমতাবস্থায় শ্রমিকদের জীবনমান প্রচন্ড নিম্নমুখী। সরকার এ সমস্ত শ্রমিকদের পথে নামিয়েছে। এদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলেছে। আমাদের বকেয়া বেতন আমাদের হক, আমাদের অধিকার। সরকারের কাছে আমরা কোন করুণা চাচ্ছি না। আমাদের এই ন্যায়সঙ্গত পাওনা সরকার যদি দিতে না চায় তাহলে আমরা নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দকে সাথে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে শ্রমিকদের সমুদয় বকেয়া আদায় করে নেব।

্রিন্ট

আরও সংবদ