খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী কনভেনশনে মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী

খবর প্রতিবেদন |
০১:২০ এ.এম | ০১ অক্টোবর ২০২৩


বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মিথ্যাচার’ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ এই সমাবেশের আয়োজন করে। 
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে শেখ হাসিনা কিছু কথা বলেছেন। এসব কথায় তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে, বেগম জিয়া যাতে রাজনীতি করতে না পারেন, সে জন্য আজকে তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।’ 
এক দফা আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছে এবং চলমান লড়াইয়ে বিজয় সুনিশ্চিত জানিয়ে বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘সমগ্র দেশের মানুষ আজকে জেগে উঠেছে একটিমাত্র দাবি নিয়ে। সেই দাবি হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। দাবি হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারকে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’ 
ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে আমরা গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা আজকে এক দফা দাবি দিয়েছি। সেই দফা হচ্ছে, সরকার আমাদের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে, সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই সরকারকে এই দেশের মানুষ আর একমুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক রেখে, চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
সমাবেশে সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা এখনো আল্টিমেটাম দিই নাই। যাঁদের সন্তানদের গুম করেছেন, হত্যা করেছেন, যাওয়ার আগে তাঁরা যদি বলে হিসাব দিয়ে যেতে হবে, তখন পরিস্থিতি কী হবে, আমি জানি না। এখনো সময় আছে চলে যান, ভদ্রভাবে চলে যান। তা না হলে জনগণ ধরলে আমরা আপনাদের রক্ষা করতে পারব না।’
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেনÑতারা কেন ক্ষমতা ছাড়বেন, কী তাদের অপরাধ। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই ক্ষমতা আপনারা রাতের অন্ধকারে জোর জবরদস্তি করে নিয়েছেন। আপনারা চোর, ডাকাত, লুটেরা। আপনারা লুট করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এ কারণে আপনারা ক্ষমতা ছাড়বেন।’
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রতিদিন শ্রমিক-কর্মচারীদের কষ্ট বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কিন্তু আয় বাড়ছে না। এই সরকার শ্রমজীবী মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। যে কারণে পরিবর্তনের জন্য শ্রমজীবী মানুষের সামনে লড়াইয়ের বিকল্প নাই। আগামী দিনে এক দফা আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষ সামিল হবে। এই সরকার নড়বড় করছে। দেশে-বিদেশে কোথাও জায়গা হচ্ছে না। একটা ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নূরুল হক নূরুসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ