খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে খেলোয়াড়দের গণমাধ্যম এড়িয়ে চলার নির্দেশ বিসিবির

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
১২:২২ এ.এম | ০৩ অক্টোবর ২০২৩


আগামী ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে দিয়ে বিশ্বকাপের মিশন শুরু হবে বাংলাদেশের। এর আগে থেকেই মিডিয়া ও টিম অপারেশন ম্যানেজার রাবিদ ইমাম যেনো মুখে কুলুপ এঁটেছেন। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও কিছু বলছেন না। বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসানের দলের যেন এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাকিব তার সতীর্থ থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফদেরও নির্দেশ দিয়েছেন মিডিয়ার সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিব বরাবরই নিজস্ব কিছু নীতি মেনে চলেন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সতীর্থদের মিডিয়াসহ বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। আসন্ন বিশ্বকাপেও একই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি। 
গুয়াহাটিতে পৌঁছানোর পর প্রথম ম্যাচের আগ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্র“পে টুকটাক ভিডিও বার্তা দিলেও পরের দিন থেকে জাতীয় দলকেন্দ্রিক কোনও তথ্য দেননি বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার। কেন নেই, সেই ব্যাখ্যাও দেননি রাবিদ ইমাম। যদিও বিশ্বকাপের আগে সাকিবের এই নিয়মকে সমর্থন জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালকদের অনেকে। তারা মনে করেন, এতে করে ক্রিকেটারদের খেলায় ফোকাস বাড়বে।
অবশ্য এমনটা ভাবার কারণ আছে। তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে না রাখা, পরবর্তীতে সাকিব, তামিম এবং মাশরাফির ভিডিও নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। সেই ঝড় বিসিবি চুপচাপ থেকেই সামাল দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও মন্তব্য করেনি।
মূলত সা¤প্রতিক বিতর্ক থেকে খেলোয়াড়দের দূরে সরিয়ে স্রেফ খেলায় মনোযোগি রাখতেই সাকিব ও বোর্ডের এমন উদ্যোগ। কিন্তু সেটা যেন বিশ্বকাপ দলকে প্রভাবিত করতে না পারে কিংবা দলের কাউকে নিয়ে যেন নতুন কোনও ইস্যু তৈরি না হয়, সেই চেষ্টা টিম ম্যানেজমেন্টের। এই কারণেই মৌন থাকার নীতি গ্রহণ করেছে বিসিবি।

্রিন্ট

আরও সংবদ