খুলনা | বুধবার | ২১ মে ২০২৫ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাতক্ষীরায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:৪৩ এ.এম | ০৩ অক্টোবর ২০২৩


সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর এলাকা থেকে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী সোমবার দুপুরে এক জনাকীর্ণ  আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। তবে পলাতক থাকায় আসামি ইসলাম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলে না। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম তালা উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। 
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে রিয়াদ হোসেন কদমতলার একটি কিন্ডার গার্টেনে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। আশরাফুল ইসলাম মাঝে মধ্যে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে যাতায়াত করতো। পরিচয়ের সূত্র ধরে সে জিয়াউর রহমানের  মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে আশরাফুল প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রিয়াদকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ  সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আশরাফুল। পরের দিন সকালে বলাডাঙ্গা ফুটবল মাঠ থেকে রিয়াদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে রিয়াদের পিতা বাদী হয়ে আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৪। 
মামলার তদন্ত শেষে সদর থানার এসআই হুমায়ুন কবির ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। মামলাটি বিচারের জন্য উক্ত আদালতে প্রেরিত হলে বিচারক পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ও ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার প্রয়োজনীয় নথি পর্যালোচনা শেষে আশরাফুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে  মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।  
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রোকনুজ্জামান। সরকারের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এড. আব্দুল লতিফ। প্রসঙ্গত, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। সরকারি কৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ