খুলনা | শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

নেপালে ভূমিকম্পে মৃত্যু দেড়শ’ ছাড়ালো

খবর প্রতিবেদন |
০১:০২ এ.এম | ০৫ নভেম্বর ২০২৩


নেপালের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে আরো শতাধিক। শনিবার কর্মকর্তারা বলেছেন, উদ্ধার অভিযানে সহায়তার লক্ষ্যে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট ও আলজাজিরার।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী জুমলার ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারতের রাজধানী নয়াদিলি­ পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি। নেপালের সীমান্ত থেকে নয়াদিলি­র দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পটি শুক্রবার গভীর রাতে হিমালয়ের দেশটির সুদূর পশ্চিমে আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপের পরিমাপে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে স্থানীয়দের ধসে পড়া বাড়ি ও ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনকে বের করে আনতে অন্ধকারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে খনন করতে হচ্ছে। জরুরি যানবাহনের সাইরেন বেজে উঠলে জীবিত ব্যক্তিরা নিরাপত্তার জন্য বাইরে এসে ভিড় করে।
নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৫০ মাইল উত্তরপূর্বে অবস্থিত জাজারকোট জেলা ছিল এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ব জরিপ সংস্থা তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উলে­খ করেছে ভূপৃষ্ঠের ১১ মাইল গভীরে উৎপত্তি হয়েছে এ ভূমিকম্পের।
ভূমিকম্পে নেপালের হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশটির পার্বত্য জেলা পশ্চিম রুকুমের জেলা প্রশাসক হরি প্রসাদ পন্ত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, একক জেলা হিসেবে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে তার জেলায়।
ভূমিকম্পের এপিসেন্টার জাজারকোট জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাজারকোটের জেলা প্রশাসক হরিশ চন্দ্র শর্মা।
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র কুবের কাথায়াত বলেন, কর্তৃপক্ষ উভয় জেলা জুড়ে শতাধিক আহত হয়েছে।
কর্নালি প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র গোপাল চন্দ্র ভট্টরাই এএফপিকে বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানার কারণে প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন।’ তবে তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য ব্যাপকভাবে নেপালি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমরা বিকল্প পথ দিয়ে এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই বলেছেন, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দু’টি জেলা। এগুলো হলো-জাজারকোট ও রুকুম।
এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্ড ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ২০১৫ সালে দু’টি বড় মাত্রার ভূমিকম্প নেপালে আঘাত হানে। এতে অন্তত ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরো ২২ হাজার ৩০৯ জন।
সে দু’টি ভূমিকম্পের প্রথমটি আঘাত হানে সে বছরের ২৫ এপ্রিল। ৭.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পেই বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। পরেরটি কম্পনটি হয় মে মাসে। এর মাত্রা ছিল ৭.৩।

্রিন্ট

আরও সংবদ