খুলনা | রবিবার | ১৩ জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অর্ধশতাধিক নিহত

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৭ এ.এম | ১৯ নভেম্বর ২০২৩


গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত এ স্কুলে ভোরে হামলা হয়।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি হামলা প্রমাণ করে যে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া।

আল-ফাখুরা স্কুলে বোমা হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, শিশু ও বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে হামলা-সহ বিভিন্ন ঘৃণ্য অপরাধের জন্য ইসরায়েল দায়ী থাকবে।

অপরদিকে শনিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে।

গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পাঁচ হাজার জন শিশু এবং  তিন হাজার ৩০০ জন নারী।

ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, এক হাজার ৮০০ শিশু-সহ আরও তিন হাজার ৫৭০ জন নারী নিখোঁজ রয়েছেন।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা এক হাজার ২৭০টি গণহত্যা চালিয়েছে। তারা মোট ২০০ চিকিৎসক, ২২ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে।

তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২৫টি হাসপাতাল এবং ৫২টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ জন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চার হাজার ৭১০ জন শিশু এবং তিন হাজার ১৬০ জন নারী।

তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভিতরে অনেক রোগী, আহত ব্যক্তি এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বেশ কিছু চিকিৎসা ও নার্সিং কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে। তাদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেছে এবং তাদের অপমান করেছে।

হাসপাতালের ভেতরে আটকেপড়া একজন সাংবাদিক বিবিসি-এর রুশদি আবু আলৌফকে ফোনে জানিয়েছেন যে ‘ইসরায়েলি সৈন্যদের সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে এবং তারা সব দিক থেকে গুলি করছে’।

ওদিকে আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন সেখানে এখন পানি ও অক্সিজেন নেই এবং রোগীরা তৃষ্ণায় চিৎকার করছে।

হাসপাতালটির পরিচালক জানান, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটির প্রধান পানির সংযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি ট্যাংক হাসপাতালটি ঘিরে আছে আর ওপরে ঘুরছে ড্রোন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পুরো মেডিকেল কমপ্লেক্সটির দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথের একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

বিবিসি জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে।

উত্তর গাজার শহর গাজা সিটির হাসপাতালগুলোর আশেপাশে সংঘাতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি।

এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে থাকা লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সূত্র : বিবিসি, টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আল-জাজিরা

্রিন্ট

আরও সংবদ