খুলনা | শনিবার | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জাপার

খবর প্রতিবেদন |
০৪:১৬ পি.এম | ২২ নভেম্বর ২০২৩


অবশেষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি লাঙ্গল প্রতীকে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মুজিবুল হক চন্নু সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই ঘোষণা দেন।

জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো মাধ্যম থেকে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তাদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে জানিয়ে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না, ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে। আমাদের প্রায় এক হাজার ৪০০ মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধিক আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আমরা আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী এককভাবেই নির্বাচন করব।

চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি স্বচ্ছ রাজনীতি করে, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অপবাদ নেই। গেল ৩৩ বছর দেশের মানুষ আমাদের শান্তিপ্রিয় রাজনীতি পছন্দ করেছে। আমরা আশা করছি, তিনশ আসনেই আমরা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব।

এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে জাতীয় পার্টি জানিয়ে আসছে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি না এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলেও দাবি করা হচ্ছিল দলটির পক্ষ থেকে। যদিও জাতীয় পার্টি তাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ইতোমধ্যে শুরু করেছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বর্জন করায় প্রথমবার জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা পায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি এলেও জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দলের মর্যাদা ধরে রাখে। যদিও সরকারি দল আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টি এই অবস্থান ধরে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অবশ্য জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক ছিল।

এদিকে জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দফায় দফায় হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি দিচ্ছে দলটি।  

্রিন্ট

আরও সংবদ