খুলনা | শুক্রবার | ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১

শীত এলেও ডেঙ্গু গেল না

|
১২:০৩ এ.এম | ২৫ নভেম্বর ২০২৩


শীত বাড়লে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার দাপট কমবে। এমন ধারণা ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু তার উল্টোচিত্র দেখছি। প্রতিদিন দেড় থেকে ২ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ডেঙ্গুতে নিয়মিত মৃত্যুও হচ্ছে। চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এই রোগে মারা গেলেন ১ হাজার ৫৬২ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ লাখ ৬ হাজার ৪২ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৪ জন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমে এলেও গত বছরের তুলনায় তা এখনো বেশি। এই পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়ছে। এ বছর ঢাকা শহরের চেয়ে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, এমন এর আগে কখনো হয়নি। বৃষ্টির মৌসুমে অর্থাৎ জুন থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে। আর তা সেপ্টেম্বরের দিকে কমে আসে। অন্য বছরগুলোতে আমরা এমনটাই দেখে আসছি। তবে এ বছর নভেম্বর মাস শেষ হতে চলেছে। এরপরও ডেঙ্গুর দাপট কমছে না। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে রাজধানীতে। সুস্থ হওয়ার তুলনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতি মুহূর্তেই চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে ডেঙ্গু থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। এখনো ডেঙ্গুজ্বরের কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি। ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গু মশা ছড়িয়ে পড়েছে। সেজন্য শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। আইইডিসিআরের তথ্যমতে, সাধারণত জুন-জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর-ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার থাকে। তবে এবার ভয়াবহ হতে পারে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সাধারণত মশক নিধন কার্যক্রমের স্থবিরতা, গাইডলাইনের অভাব এবং মানুষের অসচেতনতাই ডেঙ্গু প্রকোপের জন্য দায়ী। হঠাৎ থেমে থেমে স্বল্পমেয়াদি বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশি মাত্রায় প্রজনন সক্ষমতা পায়। ফলে এডিস মশার বিস্তারও ঘটে বেশি। উৎস বন্ধ না করতে পারলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি থেকেই যাবে। এ ক্ষেত্রে গাফিলতির কোনো অবকাশ নেই। একদিনে বা এক বছরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। দীর্ঘ চেষ্টায় আমরা হয়তো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। এজন্য দেশব্যাপী সমন্বিত কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ