খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে নতুন বই তুলে দেয়া একটি চ্যালেঞ্জ

|
১২:২৫ এ.এম | ২৭ নভেম্বর ২০২৩


শিক্ষার্থীদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ে নতুন বই তুলে দেয়া সরকারের একটি চ্যালেঞ্জ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বলা যায়, নববর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বাড়তি আনন্দের দিন। দেশের প্রতিটি জনপদে চলে এ উৎসব। যদিও তাতে ছেদ পড়া শুরু হয়েছে গত বছর থেকে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবারো যথাসময়ে নতুন বই তুলে দিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। 
জানা গেছে, মোট ৩১ কোটি নতুন বইয়ের মধ্যে প্রাথমিক স্তরের সব শ্রেণির বই ছাপা প্রায় শেষ। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই সময়মতো ছাপা নিয়ে বিপাকে এনসিটিবি। ষষ্ঠ-সপ্তমের দু’টি বইয়ের পান্ডুলিপি এখনো ছাপাখানায় দেয়া হয়নি। মাত্র শুরু হয়েছে অষ্টমের বই ছাপা। নবম শ্রেণির কোনো বইয়ের পান্ডুলিপি এখনো ছাপাখানায় পাঠানোই সম্ভব হয়নি। পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, বই ছাপার কাজের চুক্তির জন্য অর্থছাড় মিলছে না। ফলে ছাপাখানার মালিকদের টাকা দেয়াও সম্ভব হয়নি। ছাপাখানা কর্তৃপক্ষ কাগজ কিনতে পারছে না। সব মিলিয়ে টাকার অভাবেই থমকে আছে নবম শ্রেণির বই ছাপা। বিভিন্ন শ্রেণির আরো কয়েকটি বই ছাপার কাজও একই কারণে বন্ধ। নিয়ম অনুযায়ী বই ছাপার পর প্রকাশকরা বিল পাঠালে এনসিটিবি সেই বিল মঞ্জুর করবে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে, বই ছাপার আগেই প্রকাশকদের টাকা দিয়ে দিতে হবে। এবার ‘আইবাস’ পদ্ধতিতে টাকা ছাড়ের সিদ্ধান্ত হলে প্রকাশকরা বই ছাপার আগে টাকা পাচ্ছেন না। এতে অনেক প্রকাশক টাকা না পেয়ে বই ছাপছেন না। অতীতে আমরা দেখেছি, বই বিপণন নিয়ে নানা ঘটনা। বিনামূল্যে বিতরণের বই কালোবাজারে বিক্রি, বইয়ের সঙ্গে নোট বই কিনতে অভিভাবকদের বাধ্য করার মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণির বই বছরের পর বছর সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে পেঁৗঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রকাশকরা। শিক্ষার মান নিশ্চিত সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সে চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গেই মোকাবিলা করতে হবে। নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানো নিশ্চিত হবে, বইয়ের মান ঠিক থাকবে- এমন প্রত্যাশা রাখছি।

্রিন্ট

আরও সংবদ