খুলনা | শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে ফের আহবান

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩২ এ.এম | ০১ ডিসেম্বর ২০২৩


কোনো ধরণের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন এবং তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আবারও আহŸান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
স্থানীয় সময় বুধবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এই মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান পদ্ধতিগত দমনপীড়ন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে মহাসচিব কি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন? যেখানে ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অন্যায় ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এই নির্বাচনে কোনও পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ এমন নির্বাচন খুব কমই পর্যবেক্ষণ করে থাকে। আমরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য সংস্থার রিপোর্টগুলো দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, কোনও ধরনের হয়রানি ছাড়াই যেন বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আবারও আহŸান জানাচ্ছি।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত ভোটে আসার কোনো লক্ষণ নেই বিএনপি’র। দলটি এখনো সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে। শেষ পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে প্রয়োজন তফসিল পেছানো হতে পারে বলে বেশ কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন।
সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ আহ্বান জানিয়ে আসছে। গত অক্টোবরে জাতিসংঘও এমন আহŸান জানিয়েছিল।
অক্টোবরে মাসে এক ব্রিফিংয়ে ডুজারিক বলেছিলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। একইসঙ্গে এমন একটি পরিবেশ দেখতে চাই, যেখানে মানুষ প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই যেকোনো পক্ষে কথা বলতে পারবে। তবে সংস্থা থেকে ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না।

্রিন্ট

আরও সংবদ