খুলনা | শুক্রবার | ২৩ মে ২০২৫ | ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রতি ১০ মিনিটে একটি বোমা পড়ছে

যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলের হামলায় ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত

খবর প্রতিবেদন |
০১:১০ এ.এম | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩


হামাসের সঙ্গে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান সব দিক থেকেই স¤প্রসারণ করেছে। সোমবারও টানা চতুর্থ দিনের মতো ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএএফ)।
এতে তিন দিনে নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে সোমবার সকালে আরও ২০টি এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়ে আইডিএএফ সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছে। গাজার উত্তরের অভিযান শেষ করে তারা এখন ক্রমেই দক্ষিণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খবর আলজাজিরা, বিবিসির। 
হামাসের সঙ্গে শুক্রবার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় শেষ হওয়ার পর গাজায় স্থল অভিযান বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজা জুড়েই হামাসের শক্ত অবস্থান লক্ষ্য করে আইডিএফ অভিযান জোরদার করেছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইল গাজায় প্রায় ১০ হাজার বিমান হামলা চালিয়েছে। 
এদিকে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলের সম্ভাব্য অভিযান নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।  তিনি বলেন, উচ্চ পর্যায় থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, উত্তরে যা ঘটানো হয়েছে, দক্ষিণে কোনোভাবে সেটা ঘটতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, প্রতি ১০ মিনিটেই একটি করে বোমা ফেলা হচ্ছে। এখানে হাসপাতাল, আশ্রয় শিবির বা অন্য কোথাও কেউ নিরাপদ নয়। আমিও কোথাও নিরাপদ বোধ করছি না। কেউই এখনো নিরাপদ বোধ করেন না। এদিকে আইডিএফ সোমবার জানিয়েছে গাজায় ২০০ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
শনিবার থেকে ইসরাইলি বাহিনীর এ হামলায় ৮শ’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫,৫২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ডাঃ আশরাফ আল কুদরা বলেন, এ হামলায় ৪১,৩১৬ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
এদিকে সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে হাসপাতালে মরদেহ আসতে শুরু করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুর্স আলজাজিরাকে বলেছেন, ‘মরদেহের প্রবাহে আমাদের হাসপাতগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। আমাদের হাসপাতালগুলো আহতদের আর কোনো চিকিৎসা দিতে পারছে না। ইসরাইলের সেনারা আমাদের সব চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুতের অভাবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যাবে।
মহাপরিচালক আরও জানিয়েছেন, ইসরাইলিদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন, যার মধ্যে মাত্র ৪০০ জন দক্ষিণ দিকের রাফাহ অঞ্চলে পৌঁছাতে পেরেছেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ