খুলনা | মঙ্গলবার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পাত্তা পেলেন না শমসের-তৈমুর!

খবর প্রতিবেদন |
১০:৪২ পি.এম | ০৭ জানুয়ারী ২০২৪


এবারের নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনায় ছিল তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদার গড়া এই দলে মাত্র কয়েক মাস আগে নেতৃত্বে আসেন শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। তারা দুজনই বিএনপির সাবেক নেতা। তবে নির্বাচনে এসে সুবিধা করতে পারলেন না দলটির শীর্ষ দুই নেতার কেউই। দুজনেরই ভরাডুবি হয়েছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীও হতে পারেননি তাদের কেউ।  

সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ১৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নাহিদ।

নাহিদ পেয়েছেন ৫৮ হাজার ১২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৮৭ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনেও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ভরাডুবি হচ্ছে।

এই আসনে ১২৮টি কেন্দ্রের বেশির ভাগের ফল পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বিজয়ী হওয়ার পথে। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাহান ভূইয়া। আর তৈমুর আলম খন্দকার হয়েছেন তৃতীয়। তার ভোটের পরিমাণও খুবই কম।

এবারের নির্বাচনে নতুন নিবন্ধন পাওয়া দলটি শতাধিক আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তবে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বাইরে কেউই তেমন আলোচনায় ছিলেন না। বরং নির্বাচনে এসে দলটি ভাঙনের মুখে পড়ে।

গত ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে তৃণমূল বিএনপির ৬০ জন প্রার্থীর পক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বেইমান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বেইমানি করে তাদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন প্রার্থীরা। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দেন এবং সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।