খুলনা | মঙ্গলবার | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সমন্বয় সভায় বক্তারা

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকলের ঐক্যবদ্ধতা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১১:১৪ পি.এম | ২৮ জানুয়ারী ২০২৪


বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানই একে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে সংকটাপন্ন শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ১টি করে তুলেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটাপন্ন। উপকূলীয় এলাকার এই সংকট নিরসনে সবাইকে সম্মিলিতভাবে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যরা। 
রোববার স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ সাতক্ষীরার কাটিয়াস্থ কার্যলয়ের সভাকক্ষে এক অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভায় এই দাবি তুলে ধরা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম এই সমন্বয় সভার আয়োজন করে। ফোরামের সভাপতি প্রফেসর মোঃ আব্দুল হামিদ এর সভাপতিত্বে সভায়  আরো উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত, আবুল কালাম আজাদ, ফরিদা আকতার বিউটি, শেখ আফজাল হোসেন, জোৎস্না দত্ত, মকবুল হোসেন, একোব্বর হোসেন, শরীফুল­াহ কায়সার সুমন, তাহমিনা ইসলাম প্রমুখ।
সভায় উপকূলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষা করার জন্য এই এলাকাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণের দরকার। জলবায়ু সংকট যেহেতু মানবতার জন্য হুমকি স্বরূপ তাই এই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকলের ঐক্যবদ্ধতা প্রয়াজন। 
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরায় নবনির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে একত্রে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গস্খহণ করা হয়। বর্তমান নবনির্বাচিত সরকার উপকূলের সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া ও সভায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধকল্পে আগামী ৬ মাসের জন্য বেশকিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সভায় আলোচিত পরিকল্পনাসমূহ উপকূলের জনমানুষের অধিকার রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে ফোরামের প্রত্যাশা।