খুলনা | রবিবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কলেজছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

খবর প্রতিবেদন |
০৪:১৫ পি.এম | ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪


নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আতিক হাসান(২২) গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়নপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে,  একই এলাকার আশরাফ হোসেন মাস্টারের ছেলে সুমন আলী(২৩) এবং টিপু সুলতান (৩৩) ও আবু জাফর(২৫) একই এলাকার সাত্তার আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ আগষ্ট সকালে নিজ বাড়ি থেকে উত্তরনারীবাড়ি এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যায় ওই ভিকটিম। এসময় রাস্তার পাশে আতিক হাসান, সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফর ছাত্রীকে জোর করে অপহরণ করে সাদা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখঁজি করে না পেয়ে চাচা আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে চারজনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার ১০দিন পরে ২০ আগস্ট নাটোর জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট চত্তর থেকে পুলিশ অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় প্রধান আসামিকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ ধারায় যাবজ্জীবন ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অপর তিন আসামি সুমন আল, টিপু সুলতান ও আবু জাফরকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।