খুলনা | শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

খুলনা মেডিকেলের ওষুধ যায় সিন্ডিকেটের পেটে : অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিন

|
১২:২০ এ.এম | ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪


বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে মানুষ সেবা নিতে গিয়ে কতটা দুর্ভোগের শিকার হয়, বিষয়টি বহুল আলোচিত। অথচ সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু সেটি বাস্তবে কতটা প্রতিফলিত হচ্ছে, তা নিয়ে মাঝে মধ্যে আমাদের সন্দিহান হতেই হয়। পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খুলনা মেডিক্যালের ওষুধ যায় সিন্ডিকেটের পেটে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে সরকারিভাবে ৭২ ধরণের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও ইনজেকশনও আছে; যেগুলো রোগীরা বিনামূল্যে পেতে পারেন। কিন্তু কোন কোন ওষুধ বিনামূল্যে মিলবে, সেই তথ্যই রোগীদের জানানো হয় না।
মূলত ওষুধসহ এখানকার চিকিৎসা সামগ্রী বাইরে বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। কিছু কর্মকর্তা, নার্স, ট্রলিম্যান, ওয়ার্ডবয়, ফার্মাসিস্ট ও কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী এসব সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেন। দেশের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেরই সাধারণ চিত্র এটি। মহামারীর সময়ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অপরিহার্য পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার মান, বিশেষ করে হাসপাতালগুলোর সেবা কার্যক্রম হতাশাজনকই আছে। শুধু ওষুধ নয়, রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রেও মানুষের বেশি অর্থ খরচ হচ্ছে। বস্তুত চিকিৎসা খাতে মানুষের ব্যয় না কমলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হুমকির মুখে পড়বে, যা দেশের টেকসই উন্নয়নেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 
আমরা চাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের কোন হাসপাতালের কী অবস্থা, সেই খোঁজ রাখুক। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। কারণ সবার জন্য সাশ্রয়ী ও মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দিতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যারা স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্য খাতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।