খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৭ অগাস্ট ২০২৫ | ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

তামাক নিয়ন্ত্রণে গঠিত খুলনা বিভাগীয় টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
১২:০৯ এ.এম | ২১ মার্চ ২০২৪


ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে গঠিত খুলনা বিভাগীয় টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভা গকাল বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। 
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব), মোঃ ফিরোজ শাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ, বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক মোঃ তবিবুর রহমান ও কেএমপির উপ-(দক্ষিণ) কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সভায় গত তিন মাসের খুলনা বিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনের প্রতিনিধি কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক। মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন উপ-সচিব মোঃ ইকবাল হোসেন, বিভাগীয় সমাজসেবা পরিচালক অনিন্দিতা রায়, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মোঃ রিয়াজুল কবির পিএসসি, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম ও সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এড. মোঃ মাসুম বিল­াহ। 
সভায় বক্তারা বলেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও পরিচালক স্বাস্থ্য অফিস থেকে চিঠি প্রদানের পর গত তিন মাসে ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গঠিত জেলা ও উপজেলা ট্রাক্সফোর্স কমিটির মধ্যে চুয়াডাঙ্গা মাগুরা ও খুলনা জেলার কমিটির মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগের অন্যান্য উপজেলা ও জেলা কমিটির মিটিং এখনো সম্পন্ন হয়নি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের শিথিলতার কারণে, তামাক কোম্পানিগুলো অবাধে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে এনে খুব দ্রুত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি শাস্তি প্রদান করে দৃশ্যমান করতে হবে। তামাকের ক্ষতিকর বিষয় নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। 
খুলনা বিভাগের জেলা ও উপজেলা গুলোতে প্রচার-প্রচারণা ও সভা, সেমিনার অনুষ্ঠিত করতে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহ যেমন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় তামাক নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দকৃত অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রচার প্রচারণার কাজে ব্যয় করতে হবে পাশাপাশি লাইসেন্স বাস্তবায়ন করতে হবে। তামাক চাষ বন্ধের পাশাপাশি ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য যেহেতু মাদক গ্রহণের প্রবেশদ্বার সেহেতু এটিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।