খুলনা | শুক্রবার | ২০ জুন ২০২৫ | ৬ আষাঢ় ১৪৩২

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৩৬ এ.এম | ২৮ মার্চ ২০২৪


মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।  দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল­ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
গল­ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার, কেডিএ, শ্রম দপ্তর, আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি), সিভিল সার্জন দপ্তর, আনসার ভিডিপি, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিআইডি, পিবিআই, এপিবিএন, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা কারাগার, ওয়াসা, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, আইনজীবী সমিতি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আ’লীগ এবং এর অংগ ও সহযোগি সংগঠন, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সকাল আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ। পরে একই স্থানে কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সহযাত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মহান দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মধ্যম আয়ের দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও এসডিজি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য ভাবে এগিয়ে চলছে। 
২৬ মার্চ সিনেমা হলসমূহে ও উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন/প্রামাণ্য চলচ্চিত্র/দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সকাল থেকে একটা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। শহিদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধ ভিক্তিক চলচ্চিত্র/প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং খুলনার সকল পার্ক, জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘর শিশুদের জন্য বিনা টিকিটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয়।
খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডির) উদ্যোগে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেএমপি’র কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়বেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির ও সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহাবুবার রহমান। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম বন্দ এতে বক্তৃতা করেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।  
খুলনা সিটি কর্পোরেশন : দিবসের প্রত্যুষে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র প্যানেলের সদস্য, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে গল­ামারী স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সকাল পৌনে ৮টায় তিনি নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 
দিবসটি পালন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কাগজের পতাকা দ্বারা সজ্জিতকরণ এবং নগরীর প্রবেশদ্বার, খালিশপুর শাখা অফিস, মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য্য, শহিদ হাদিস পার্ক ও নগর ভবনে আলোক সজ্জিত করা হয়।  এছাড়া সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নগরীর ওয়ান্ডার ল্যান্ড শিশু পার্ক ও লিনিয়ার পার্কে শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : দিবসটি উপলক্ষে সকালে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রুবেল আনছার। আরও বক্তৃতা করেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম হাওলাদার এবং প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শাফিন ইমতিয়াজ শিহাব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ফারজানা জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের সংগঠন চেতনা’৭১ আয়োজিত অনলাইন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে সকাল ৬টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শোভাযাত্রা সহকারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপরই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, ডিসিপ্লিনসমূহ, আবাসিক হলসমূহ, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও প্রশাসন ভবন সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল, সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরে প্রার্থনা এবং অদম্য বাংলার সম্মুখে দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য “দুর্বার বাংলা”-এর পাদদেশে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। পরে শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), অফিসার্স এসোসিয়েশন, ফজলুল হক হল, লালন শাহ্্ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম এ রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), কর্মচারী সমিতি ও মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বেলা পৌনে ১১টায় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব, সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা, পরিচালক (গবেষণা ও স¤প্রসারণ) প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, ইউআরপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তুষার কান্তি রায়, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসিব সরদার।
এছাড়াও সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সাড়ে ৯টায় শিশু-কিশোারদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাড়ে ১০টায় পুরস্কার বিতরণ এবং আসর বাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি : দিবসটি উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ গল­ামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, বেলা ১১টায় স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেখ মোঃ এনায়েতুল বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর কানাই লাল সরকার, সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নওশের আলী মোড়ল, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোঃ রউফ বিশ্বাস। বক্তৃতা করেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ তবিবার রহমান, প্রক্টর মোঃ আসাদুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. নাসিম আহমেদ, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক এস এম রিয়াজুর রশীদ, আইকিউএসি’র পরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, সহকারি প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মিনা অছিকুর রহমান দোলন। 
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এ্যান্ড টেকনোলজি খুলনা :  দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এনইউবিটি খুলনার শিববাড়িস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর জালাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ শাহ আলম এবং প্রক্টর ড. এম ডি  মারুফ আলম। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগীয় প্রধান মুস্তাফিজুর রহমান। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খান বাহাদুর আহ্ছান উল­া বিশ্ববিদ্যালয় : জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে। ওইদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অংশ গ্রহণের‌্যালী, গল­ামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মাহমুদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী মোকলেছুর রহমান।  সভায় বক্তৃতা করেন সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইমন এবং ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী ইবাদত শিকারী, সেকশন অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক নওশাদ হাসান নিলয় ও সাদিয়া সুলতানা এবং সিএসই বিভাগের প্রভাষক শিলা খাতুন প্রমুখ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ মুজাহিদুল আলম ও তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী চিন্ময় দাস।
শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা : দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হয়। এ দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ট্রেজারার অধ্যাপক ডাঃ কামদা প্রসাদ সাহা, রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুর রউফ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কুতুব উদ্দিন মলি­ক, প্রাক্তন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মেহেদী নেওয়াজসহ বিশ^বিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণে  গল­ামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ২য় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু। আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার, প্রাক্তন প্রকল্প পরিচালক ও খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দিনটি উদযাপনে রাতে বিশ^বিদ্যালয়ের ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ : দিবস  উপলক্ষে  বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। জাতীয়  পতাকা উত্তোলন করা হয়। গল­ামারিস্থ স্মৃতিসৌধে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এর নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পমাল্য অর্পণে অংশগ্রহণ করেন কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক সদস্যবৃন্দ, সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, পরিচালক (এস্টেট)সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। বাদ যোহর কেডিএ জামে মসজিদে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়। কেডিএ এভিনিউ পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়। রাতে অফিস ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয় ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ  :  দিবস  উপলক্ষে  বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। গত মঙ্গলবার ভোরে নগরীর গল­ামারী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার), পিপিএম। এ সময় কেএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, এবং অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি মোল­া জাহাঙ্গীর হোসেন, ডেপুটি কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) রাশিদা বেগম, ডেপুটি কমিশনার (ডিবি) অতিরিক্ত (ডিআইজি) বিএম নুরুজ্জামান, ডেপুটি কমিশনার (লজিস্টিকস এ্যান্ড সাপ্লাই) অতিরিক্ত ডিআইজি এমএম শাকিলুজ্জামান, ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা, ডেপুটি কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজীসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা প্রেস ক্লাব : দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা। বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, মোঃ সাহেব আলী ও মলি­ক সুধাংশু, মাহবুবুর রহমান মুন্না, শেখ মোঃ সেলিম, মোঃ শাহ আলম, ক্লাব সদস্য মোঃ আব্দুল হালিম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, ক্লাব সদস্য কাজী শামীম আহমেদ, এস এম নূর হাসান জনি, দিলীপ কুমার বর্মন ও  একরামুল হোসেন লিপু, সাংবাদিক শামীম আশরাফ শেলী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমল সাহা, আব্দুস সাত্তার, এজাজ আলী ও মোঃ কলিন হোসেন আরজু. ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য শশাংক স্বর্ণকার, আল মাহমুদ প্রিন্স, মিলন হোসেন ও মোঃ সোহেল রানাসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে খুলনা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গল­ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম খুলনা’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টুসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। 
বাংলাদেশ নৌবাহিনী : দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন নৌ অঞ্চলসমূহের মসজিদে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত, দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ অঞ্চলের সকল জাহাজ ও ঘাঁটিসমূহে সর্বস্তরের সামরিক/অসামরিক সদস্যদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ এবং ‘মুজিবনগর : বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ এবং শিশু নিকেতন যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং মোংলা কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সম্পর্কে রচনা, আবৃত্তি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 
দিবসটি উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনাল খুলনায় বানৌজা শহিদ আখতার উদ্দিন, নেভাল বার্থ দিগরাজ এ বানৌজা তুরাগ, মেরিন ওয়ার্কশপ জেটি বরিশাল এ বানৌজা শহিদ দৌলত, বিআইডব্লিউটিএ ঘাট চাঁদপুর এ বানৌজা সালাম, পাগলা নেভাল জেটি নারায়ণগঞ্জে বানৌজা অদম্য, চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে বানৌজা প্রত্যাশা এবং সদর ঘাট, ঢাকা-এ বানৌজা তিতাস দুপুর ১২টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। 
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন খুলনা :  দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় গল­ামারী  স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় বিএমএ ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু’র ম্যূরাল ও শহিদ চিকিৎসকদের নাম ফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের উপস্থিত ছিলেন বিএমএ খুলনার সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, ডাঃ এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ, ডাঃ মোল­া হারুন অর রশীদ, ডাঃ সামছুল আহসান মাছুম, অধ্যাপক ডাঃ কুতুব উদ্দিন মলি­ক, ডাঃ সুমন রায়, ডাঃ এস এম তুষার আলম, ডাঃ দেবনাথ তালুকদার রনি, ডাঃ পলাশ কুমার দে, ডাঃ মহিবুল হাসান খান, ডাঃ আনোয়ারুল আজাদ, অধ্যাপক ডাঃ পরিতোষ কুমার চৌধুরী, ডাঃ জিল­ুর রহমান তরুন, ডাঃ প্রিতীশ তরফদার, ডাঃ ডলি হালদার, ডাঃ মোহাম্মদ হাসান, ডাঃ বাপ্পারাজ দত্ত, ডাঃ ফিরোজ হাসান, ডাঃ শেখ আওরঙ্গজেব প্রিন্স, ডাঃ উপানন্দ রায়, ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ ধীরাজ মোহন বিশ^াস, অধ্যাপক ডাঃ বঙ্গ কমল বসু, ডাঃ আর কে নাথ, ডাঃ গৌতম রায়, ডাঃ বিশ^জিৎ সরকার, ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার, ডাঃ সোহেলুল আলম, ডাঃ অণিরুদ্ধ সরদার, ডাঃ হিমেল সাহা, ডাঃ আব্দুলাহ্ আল মামুন, ডাঃ নয়ন পাল প্রমুখ। 
এছাড়া বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শল্য/সার্জারী বিষয়ক নির্ধারিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে রোগী দেখেন সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাঃ শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডাঃ বিপ্লব বিশ্বাস, ডাঃ পলাশ কুমার দে, ডাঃ হিমাদ্রী শেখর সরকার, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ উপানন্দ রায় ও নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবনাথ তালুকদার রনি। বিএমএ খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মেহেদী নেওয়াজের সার্বিক তত্ত¡াবধানে মেডিকেল ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেন খুলনা বিএমএ’র সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ মহিবুল হাসান খান।
আনসার ও ভিডিপি খুলনা রেঞ্জ : দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল­ামারী স্মৃতিসৌধে খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন পরিচালক ৩ আনসার ব্যাটালিয়ন, মোল্যা আবু সাইদ, জেলা কমান্ড্যান্ট খুলনা মোঃ সাইফুদ্দিন। 
সকাল সাড়ে ১০টাঢ আনসার ও ভিডিপি রেঞ্জ কার্যালয়ের সভাকক্ষে বাংলার মাটি বাংলার জল ও স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা বিশেষ প্রমান্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রমান্যচিত্র প্রদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী ও জেলা কমান্ড্যান্ট খুলনা মোঃ সাইফুদ্দিন এবং রেঞ্জ ও জেলা কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটলিয়ন আনসারগণ। পরে বাহিনীর গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী। সভাপতিত্ব করেন জেলা কমান্ড্যান্ট খুলনা মোঃ সাইফুদ্দিন। এ সময় রেঞ্জ ও জেলা কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটলিয়ন আনসারগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিন বাদ যোহর নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করা হয়। রেঞ্জ ও জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত ইফতার ও প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী।
রেলওয়ে পুলিশ সুপার খুলনা :  দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন খুলনা জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে খুলনা রেলওয়ে পুলিশ গল­ামারী বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধ-এ ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে ৩০ লক্ষ শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
খুলনা শিশু হাসপাতাল : দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগত রোগীদের সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান। এ সময়ে উপস্থিতি ছিলেন হাসপাতালের উপ-তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ অনুপ কুমার দে, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ প্রদীপ দেবনাথ, আরএমও ডাঃ সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, আইএমও ডাঃ আরিফুল কামাল, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ নূর-এ-আলম সিদ্দিকী, ডাঃ মোঃ সাইফুল আরেফিন (টুটুল), ডাঃ এ, কে, এম মোর্শেদুর রহমান ফ্রি চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করেন। খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আল-আমিন রাকিব, অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিপ্লোমাবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ।  
আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ : দিবস উদ্যাপিত হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের উলে­খযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনা অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী সভা, আলোকসজ্জাকরণ ও দোয়া মাহফিল। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গাজী মনিবুর রহমান এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর শেখ রেজাউল করিম। মুখ্য আলোচক হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মূল্যবান বক্তৃতা করেন ব্রজলাল সরকারি ব্রজলাল কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর শিকদার মনিরুজ্জামান। আয়োজক কমিটির আহŸায়ক সহাযোগী অধ্যাপক তারক চাঁদ ঢালীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম এম কবির আহমেদ ও ছাত্র প্রতিনিধি শেখ টিটু, তামিম প্রমুখ।  
ওয়ার্কার্স পার্টি : দিবস উপলক্ষে পার্টির খুলনা জেলা ও মহানগরের যৌথ উদ্যোগে ২৬ মার্চ সাড়ে ৭টায় পার্টির নিজস্ব কার্যালয়ে আলোচনা সভা জেলা পার্টির সভাপতি এড. মিনা মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ও উপস্থিত ছিলেন পার্টির নগর সভাপতি রড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, নারায়ণ সাহা, যুব মৈত্রী জেলা নেতা কৃষ্ণপদ ঘোষ, মৃত্যুঞ্জয় সরদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তার সুফল হতে দেশের মানুষ বঞ্চিত। 
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি : দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বদ্ধভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল ৭টায় শিশুদের মাঝে চিত্রাঙ্কক প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃতি, আইনজীবীদের কবিতা আবৃতি এবং আলোচনা সভা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও উত্তরিয় প্রদান করা হয়। সর্বশেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. এস এম তারিক মাহমুদ তারা এবং যুগ্ম-সম্পাদক এড. তমাল কান্তি ঘোষ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানের সময় বক্তৃতা করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. স ম বাবর আলী, এড. হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, এড. আঃ সবুর মোল­া এবং উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোল­া বজলুর রহমান, এড. মোঃ এনায়েত আলী, এড. আব্দুল মালেক, এড. সৈয়দ শহীদুল আলম, এড. অসিত কুমার হালদার, এড. আ ফ ম মহসীন, এড. গাজী আব্দুল বারী, এড. আ ব ম নূরুল আলম, এড. মোঃ কেরামত আলী, এড. এম এম মুজিবর রহমান, এড. শেখ মোহাম্মদ আলী, এড. সিদ্দিকুর রহমান, এড. কামরুল আহসান, এড. একরাম আলী মোল­া, এড. বি এম রেজাউল করিম। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এড. এনামুল হক, এড. নিরঞ্জন কুমার ঘোষ, এড. আব্দুল লতিফ, এড. ইয়াসমিন আরা, এড. আনোয়ারা মমতাজ আন্না, এড. আইয়ুব আলী শেখ, এড. শিকদার হাবিব, এড. এম এম সাজ্জাদ আলী, এড. নবকুমার চক্রবর্তী, এড. শামীম মোশারফ, এড. মোল­া আবেদ হোসেন, এড. জহিরুল ইসলাম পলাশ, এড. হিমাংশু চক্রবর্তী, এড. সেখ আশরাফ আলী পাপ্পু, এড. অশোক সিংহ, এড. সমর চন্দ্র মন্ডল, এড. জেসমিন পারভিন জলি, এড, কে এম শাহানাজ কচি, এড. রেহেনা চৌধুরী, এড. রোজী, এড. আক্তারুন্নেছা তিতাস, এড. মোসাঃ শাম্মি আক্তার, এড. নওশীন রহমান বর্ষা, এড. পলাশী মজুমদার, এড. রোমেনা তানহা প্রমুখ। 
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ : দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় গল­ামারী বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মাল্য দান করেছে সংগঠনের সভাপতি এম. এ. নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী ইউসুফ আলী মন্টু, মোঃ রাজীব হোসাইন, বিজয় কুমার দে মিঠু, তাজমুল হক তাজু, আসিফ ইকবাল সবুজ, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল­া, রফিকুর রহমান মারুফ, লিটন মাহমুদ, রবীন্দ্রনাথ ধর, মোঃ জিলহাজ হাওলাদার, মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, মোঃ ইমরান হাওলাদার, গোলাম রাব্বানী মামুন, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসমাইল সুমন, খান আজিম হিজল, মোঃ হাসান শেখ, জাকির হোসেন খোকন, মোঃ রবিউল ইসলাম প্রিন্স, কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, আলী আজগর আকন, মোঃ আকরাম হোসেন, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান কামাল, জায়েনুর ইসলাম বাবু, গোলাম মাওলা টিংকু, শেখ রায়হান উদ্দিন, ফাহিদ হোসেন ঐশ্বর্য, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ হেলাল খান, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ ইমরান গাজী, এ কে এম জান্নাতুল ফেরদৌস রুপম, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ নাসির শেখ প্রমুখ। পরে সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আ’লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্ধ।
খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা : দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মাদ্রাসা অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ যাকারিয়া। সভায় বক্তৃতা করেন আদিব ড. মোঃ রবিউল ইসলাম, মুহাদ্দিস মোঃ শমশের আলী শেখ, মুফাসসির মাহবুবুল ইসলাম ও আরবি প্রভাষক মোঃ সাইফুল ইসলাম অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে রচনা ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  এছাড়া বাদ আছর ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 
খানজাহান আলী থানা আ’লীগ : দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার ফুলবাড়ীগেট আ’লীগ কার্যালয় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খানজাহান থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন। পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইউনুস আলী, আঃ জলিল হাওলাদার, সেলিম রেজা, সুরুজ্জামান হানিফ, ৩৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি কাজী জাকারিয়া রিপন, সাধারন সম্পাদক মোড়ল হাবিবুর রহমান, শাকিল আহম্মেদ, বেগ খালিদ হাসান বাবু, লিয়াকত মুন্সী, আবুল কালাম আজাদ, ওলিয়ার রহমান রাজু, আবু নাইম, নাহিদ, নীলা নাসির, নাসির আহম্মেদ, শেখ আমির হোসেন, মোঃ রমজান শেখ, পাসা চৌধুরী, আশিকুজ্জামান মিঠু, ইসমাইল হোসেন ইমন, আবু সাইদ, নুরুল ইসলাম, মনির শেখ প্রমুখ। 
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ : বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবস উদ্যাপন করেছে সংগঠনটি। সকাল সাড়ে ৬টায় খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেলের নেতৃত্বে গল­ামারি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সকল বীর শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। এরপর সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং এরপর দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। সকাল ৮টায় খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন মোঃ রেজাউল ইসলাম রাজা, এফ এম হাবিবুর রহমান, কুমারেশ মন্ডল, মোঃ মঈনউদ্দিন মাসুদ রানা, এস এম আসাদুজ্জামান নূর, এইচ এম কামাল হোসেন, মোঃ আব্দুল মান্নান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাহমুদুন্নবী মিল্টন, সুরজিৎ মন্ডল, মোঃ ওহিদুজ্জামান, মোঃ আবু সাঈদ খান, গাজী কামরুল ইসলাম, এড. শেখ ইকবাল মোর্শেদ, শেখ হেলাল বাবু, অনুপম মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার মিথুন কুমার ঘোষ, মোঃ রফিকুল ইসলাম রুবেল, শাহ নূর মোহাম্মদ, মোঃ কামরুল হাসান বাপ্পি, স্বপন কুমার রায়, ইমরান হোসেন যুবরাজ, মোঃ শফিকুল ইসলাম সোহাগ, রাজীব দাশ টাল্টু, চিন্ময় রায়, মোঃ উজ্জ্বল হাওলাদার প্রমুখ। 
মহানগর যুবলীগ : দিবসে সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে গল­ামারী স্মৃতিসৌধে সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সংগঠনটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র ও নগর আ’লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, নগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, যুবলীগ নেতা এস এম হাফিজুর রহমান, মোঃ আবুল হোসেন, কবীর পাঠান, সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা মসিউর রহমান, বাচ্চু মোড়ল, বিপুল মজুমদার, সবুজ হাজরা, অভিজিৎ পাল, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন লাবু, আব্দুল মালেক, মোঃ হাসান শেখ, কাঞ্চন শিকদার, ইব্রাহিম হোসেন তপু, বাদল সিপাহী, জামিল আহমেদ সোহাগ, মহিদুল হক শান্ত, নগর ছাত্রলীগ নেতা জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, হিরণ হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, যুবলীগ নেতা রাসেল সৈকত, মোঃ আরজু, সাগর মজুমদার, একরামুল শেখ প্রমুখ। এরপর নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে, নগর আ’লীগের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। 
বসুন্ধরা শুভসংঘ খুলনা : সকাল ৭টার দিকে খুলনার গল­ামারী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে তারা এ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বিপুল কান্তি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ খান, দয়াল কৃষ্ণ সানা, কাজী মাহবুব, সদস্য মোঃ ওহিদুজ্জামান, রাজীব দাশ, শেখ হেলাল বাবু, অনুপম মন্ডল, চিন্ময় রায়, উজ্জ্বল হাওলাদার, শিশির বর, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
খুলনা জেলা জাতীয় পার্টি : দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন এম হাদিউজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা এরশাদুজ্জামান ডলার, এড. লুৎফর রহমান, শাহজাহান আলী সাজু, মোস্তফা কামাল রিপন, মোঃ আব্দুল জলিল জমাদ্দার, এজাজ আহমেদ, ফারুক খান, দেলোয়ার হোসেন লালু, মোঃ ইউসুফ হোসেন রাহুল, ওইদুজ্জামান বাদল, মোঃ নূর ইসলাম, গাজী মোশারফ, মোঃ জসিম মীর, মেজবাউল হক, মোঃ হাসান শেখ, মোহাম্মদ লাল ও মোঃ ফরিদ খান প্রমুখ।
খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগ : দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে সকাল সাড়ে ৬টায় গল­াামারী স্মৃতিসৌধে  শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাক উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং সকাল ৯টায় খুলনা মহানগর আ’লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করা হয়। নগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আঃ ওহাবের আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন মলি­ক নওশের আলী, মোঃ আব্দুর রহিম খান, শরীফ মোত্তর্জা আলী, মোঃ শাহআলম শেখ, শেখ মোঃ রমজান, শেখ মইনুল ইসলাম মোহন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ শরিফুল, মোঃ নূর ইসলাম, মোঃ আজিম উদ্দিন, সঞ্জয় কর্মকার, মোঃ শাজাহান শিকদার, প্রশান্ত কুমার ঘোষ, তৈয়ব আলী হাওলাদার, আঃ হক, আঃ হাকিম, মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোঃ সলেমান শেখ, মোঃ শহীদুল ইসলাম, আলী আজগর ডালিম, মোঃ খোকন, মোঃ বাদশা, আলমগীর মুন্সী, মোঃ সাজু শিকদার, মোঃ শাহীন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 
বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, খুলনা:   দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি এ এস এম মনিরুজ্জামান বাবুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি তাপস কুমার সরকার শিব, সহ-সভাপতি এস এম গিয়াসউদ্দিন, সহ-সভাপতি হাসান ফজল মাহামুদ মুন, আসাদুজ্জামান মিরণ, প্রতাপ রুদ্র নাথ, হেদায়েতুল ইসলাম পলাশ, এইচ এম ফরিদ, এস এম জাকির হোসেন, কাজী লুৎফর রহমান মুকুল, মোঃ হাফিজুর রহমান, গোপাল সাহা, শেখ রকিবুল আবেদীন বাবু, আব্দুল মান্নান মোড়ল, জনি বসু, সুমন কুমার কুন্ডু, মোঃ বুলবুল ইসলাম প্রমুখ। 
মুজগুন্নী আবাসিক এলাকা মালিক কল্যাণ সমিতি : দিবস উপলক্ষে মুজগুন্নী আবাসিক এলাকা (২য় পর্যায়) মালিক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমিতির উদ্যোগে সকালে নিজস্ব কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মহান ২৬ মার্চের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর যথাক্রমে স্থানীয় জনসাধরণের জন্য বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা চিকিৎসা সেবা প্রদান, আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ডাঃ এ এ আলী ও সার্বিক আয়োজনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলী খান।