খুলনা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় শাস্তি হবেই : ওবায়দুল কাদের

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৬ এ.এম | ০৭ মে ২০২৪


দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, তাদের কোনো না কোনোভাবে শাস্তির মুখোমুখি হতেই হবে।’
ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে আরও বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩ জন সংসদ সদস্য দলের মনোনয়ন পাননি। এটা কি একরকম শাস্তি নয়? মন্ত্রিপরিষদে ২৫ জন নেই। সময়মতো শাস্তি হবে। এটা একটা উদাহরণ।
সোমবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে বৈঠকে ১৭ মে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়। ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালনের বিষয়েও আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তাঁদের নিবৃত্ত করার জন্য দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের আরও উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে তিন ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা শেষ হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের তিন ধাপেই মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের ৫২ জন প্রার্থী রয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, সংসদ সদস্যদের অনেকে ক্ষমতা নিজের হাতে ধরে রাখতে সন্তান বা নিকটাত্মীয়দের ভোটের মাঠে নামিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি’র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপি’র কোনো দিনই আগ্রহ ছিল না। মাগুরা মার্কা ১৫ ফেব্র“য়ারি প্রহসনের নির্বাচন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোটে ১১৪ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি এসবই বিএনপি’র সৃষ্টি।
গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আইনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন থেকে মুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের আইনে ৮২টি সংশোধনী এনেছেন। আর বিএনপি কী করেছে?
পৃথিবীর কোনো দেশেই গণতন্ত্র শতভাগ ত্র“টিমুক্ত নয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুরোপুরি ত্র“টিমুক্ত বলে তাঁরাও দাবি করেন না। তবে গণতন্ত্রকে ত্র“টিমুক্ত করার চেষ্টা রয়েছে।