খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

ক্লিনিকে শিশু নিয়ে পালানোর চেষ্টায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৩৪ এ.এম | ১১ জুলাই ২০২৪


নগরীতে মানব পাচার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শারমিন আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া একটার দিকে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন কেএমপি’র ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২০২০ সালের ১১ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বাইতিপাড়াস্থ “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিকে বাদী মোঃ আশিক শেখের স্ত্রী মোছাঃ আশা খাতুন একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। পরবর্তীতে বাদীর স্ত্রী অজ্ঞান থাকা অবস্থায় নবজাতক শিশুটি বাদীর শাশুড়ী মোছাঃ লাভলী খাতুনের নিকট ছিল। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টার মধ্যবর্তী সময়ে আসামি মোছাঃ শারমিন আক্তার বাদীর শাশুড়ীকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে নবজাতক শিশুটিকে “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিক থেকে অপহরণ করে। এ সময় তিনি রিকশাযোগে রওনা করলে রিকশা চালক মোঃ হুমায়ুন কবিরের সন্দেহ হয়, তিনি স্যার ইকবাল রোডস্থ খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আশপাশের লোকজনদেরকে ডাক চিৎকার দেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে আসামি মোছাঃ শারমিন আক্তারকে নবজাতক শিশুসহ আটক করে। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১২ মে খুলনা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় আসামি পলাতক ছিল এবং পলাতক আসামি মোছাঃ শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা খুলনা সদর থানায় ইস্যু হয়। বুধবার বাগেরহাটের রামপাল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাত সোয়া ২টার দিকে গৌরাম্ভা এলাকার নিজ বাসা থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোছাঃ শারমিন আক্তারকে নারী পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস বিফ্রিংয়ে কেএমপি’র খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন খাঁন এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই কুমার কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন।