খুলনা | শনিবার | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কলকাতায় বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৯ এ.এম | ১২ জুলাই ২০২৪


বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতার প্রগতি ময়দান থানা এলাকায়। বুধবার কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন (ইএম) বাইপাসের ধারে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার বরুণ সেনগুপ্ত মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ। 
২৩ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ দাউদ হোসেন উপল। ঢাকার মিরপুর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা উপলের পিতার নাম মীর মোশারফ হোসেন। বুধবার সকাল ৮.৫০ নাগাদ এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি ঘটে। সে সময় কলকাতা মেট্রোর কয়েকজন কর্মী সেখানে কাজ করছিলেন। তাদের দাবি, এক যুবক পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই যুবককে পানি থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই যুবক বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই জলাশয়ের ধারে ঘোরাঘুরি করছিল। এরপরই হঠাৎ সে ওই জলাশয়ে ঝাঁপ দেয়। 
যদিও ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে, নাকি কেউ তাকে মেরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোন কারণ রয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
ওই এলাকার আশেপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যদিও পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবক কয়েকদিন আগে তার বাকি চার সঙ্গীকে নিয়ে কলকাতায় এসেছিল। গত রোববার তার সব বন্ধুরা দেশে ফিরে গেলেও যুবক তার কিছু কাজে থেকে যায়। ওই যুবক তার সঙ্গীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা এলাকার একটি হোটেলে ওঠেন। বুধবার সকালের দিকে হোটেল থেকে বের হয়ে তিনি সোজা সায়েন্স সিটির কাছে চলে যান। এরপরেই এই ঘটনা। 
ইতিমধ্যেই ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারা। বিষয়টি জানানো হয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসও। 
উলে­খ্য, কলকাতায় এসে বাংলাদেশিদের নিখোঁজ হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তা বাড়িয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের। অতি স¤প্রতি গত ১৩ মে কলকাতা এসে খুন হতে হয় ঢাকার ঝিনাইদহ ৪ আসনের এমপি আনারুল আজিম আনারের। এরপর অতি স¤প্রতি কলকাতায় এসে নিখোঁজ হয়ে যায় দুই যুবক। এর মধ্যে একজনকে ফিরে পাওয়া গেলেও আরেকজনের খোঁজ এখনো মেলেনি।