খুলনা | শুক্রবার | ২০ জুন ২০২৫ | ৬ আষাঢ় ১৪৩২

শিক্ষার্থীদের সমর্থনে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা আজহারী

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৬ পি.এম | ১৭ জুলাই ২০২৪


সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন ইসলামি অঙ্গনের জনপ্রিয় দুই বক্তা ও স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। মঙ্গলবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে কোটা আন্দোলন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানান ইসলামি অঙ্গনের এই দুই স্কলার।

শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই। ইতোমধ্যে অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। এরপরও আলোচনায় না বসলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বৈ কমবে না। আমরা আর কোনো আর্তনাদ শুনতে চাই না।

তিনি আরও লিখেন, এমনিতেই মেধাবী তরুণদের দেশ ছেড়ে বিদেশে স্থায়ী হওয়ার সারি প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। মেধার মূল্যায়ন না হলে এই সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

একই প্ল্যাটফর্মে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, কোটা নয়, গোটা দেশটাই সংস্কারের প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, পক্ষে কিংবা বিপক্ষে, আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রাণ হনন তো গণতান্ত্রিক অধিকার না। আর এটা সমাধানও না। শিক্ষার্থীদের এমন রক্তাক্ত দৃশ্য সহ্য করার মতন নয়। কোটা সংস্কারের ইস্যুতে তাদের সাথে আলাপ করে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছা যেত। কিন্তু তা না করে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো স্পষ্ট সীমালঙ্ঘন। আর আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কার চেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে টানা আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দেয় সরকার। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পক্ষ থেকে ৭ শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে আদালত কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেন।

হাইকোর্টের এই রায়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নামেন তারা। কিন্তু রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তব্যে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারা। পরদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আকষ্মিক হামলা করে বসে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। এতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ৬ জন শিক্ষার্থী।