খুলনা | বুধবার | ০২ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ডেঙ্গুর প্রকোপ : সিটি করপোরেশনের তৎপরতা বাড়াতে হবে

|
১১:৫১ পি.এম | ২৬ জুলাই ২০২৪


দেশে নানা ডামাডোলের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপের বিষয়টি অনেকটা আড়ালে পড়ে গেছে। অথচ সারা দেশে ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু-আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮ জন। এ সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ডেঙ্গু-আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, গত বছরের মতো এবারও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এডিস মশাবাহিত এ রোগ। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে ২০২৩ সালে দেশে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল ডেঙ্গু। উলে­খ্য, আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু গত বছরই মারা গেছেন প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন। দেশের ৬৪ জেলায়ই ডেঙ্গু
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কারণ মূলত অপরিকল্পিত নগরায়ণ, মশক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং স্বাস্থ্য খাতের দূরবস্থা। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মশার ওষুধ ছিটানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও এখনো সেভাবে তা চোখে পড়ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একদিনে বা এক বছরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। অব্যাহত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সুফল মিলতে পারে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এডিসের উৎপাত বেড়েছে। এ প্রজাতির মশা প্রতিকূল জলবায়ুর সঙ্গে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে শুরু করছে। তাই ধারণা করা যায়, এডিসের উৎপাত বছরজুড়েই থাকবে। কাজেই ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা পেতে বছরব্যাপী মশক নিধন ও অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে নাগরিকদেরও খেয়াল রাখতে হবে-তাদের বাসার আশপাশের খোলা স্থানে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে।