খুলনা | রবিবার | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নগরীতে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই থানায় মামলা, জেলহাজতে ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০৫:২৮ পি.এম | ০১ অগাস্ট ২০২৪


নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় এ মামলা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলার প্রতিটিতে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে নগরীর সাতরাস্তা মোড় ও রয়েল মোড়ের ঘটনায় সদর থানার এস আই হাসানুর রহমান বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় ছয়জনের নাম উলে­খ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আগের দিন আটক ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো।
অন্যদিকে সংঘর্ষের সময় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এস আই সুমন মন্ডল বাদী হয়ে নিজের থানায় আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহার তৈরিতে হওয়ায় সোনাডাঙ্গা থানায় আটক ৫ শিক্ষার্থীকে ১৮ জুলাই দায়ের করা আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করতে বুধবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সড়কে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা নগরীর রয়েল মোড়, সাত রাস্তা মোড়, ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেন। এসময় নগরীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধে গেলে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের সাথে দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ শুরুর পর পুলিশ ব্যাপক কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর ময়লাপোতা মোড়, শেরে বাংলা রোড, সাতরাস্তা মোড়, শান্তিধাম মোড়, দোলখোলা মোড়, রয়েল মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, মৌলভীপাড়া মোড় ও টুটপাড়া মোড়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ৬০জন শিক্ষার্থী আহত হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ জানায়, বুধবার নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৯০ থেকে ৯৫ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে রাতে শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়। ১১ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম জানান, আটক শিক্ষার্থীদেরকে রাতে ছেড়ে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে অন্য যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদেরকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।