খুলনা | শনিবার | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

সাকিবকে বিজ্ঞাপনী চুক্তি থেকে বাদ দিলো ডি স্মার্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
১২:৫১ এ.এম | ০৬ অগাস্ট ২০২৪


এক সময় স্লোগান উঠত- ‘বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান।’ তার কারণও নিশ্চয়ই অমূলক নয়, তাকেই যে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পোস্টারবয় হিসেবে জানে সারা বিশ্ব। কিন্তু বর্তমানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নীরব থাকায় তাকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার আর্থিকভাবেও ক্ষতির মুখে পড়লেন সাবেক এই নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডার। সাকিবের সঙ্গে বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করলো ডি স্মার্ট কোম্পানি।
এক সময় খেলা চলাকালেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি কিংবা শো-রুম উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয় সাবেক এই টাইগার অধিনায়ককে। অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো তার সঙ্গে বিজ্ঞাপনী চুক্তি ছিল ইউনিফর্ম সাপ্লায়ার প্রতিষ্ঠান ডি স্মার্ট সলিউশন লিমিটেড কোম্পানির। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাইনুল হাসান দুলন গতকাল রাতে তার সঙ্গে সব ধরণের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন।
এ নিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি অনুতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ডি স্মার্ট সলিউশন লিমিটেডের সকল টিম মেম্বার এবং বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্যগণ সম্মিলিতভাবে জনাব সাকিব আল হাসানের সাথে সম্পৃক্ততা রাখতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সকলের এই সম্মিলিত দাবির সঙ্গে মত রেখেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’
তবে ঠিক কী কারণে এই তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে, সেটি জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তবে চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকেই। এজন্য নেটিজেনদের অনেকেই ডি স্মার্টের কর্মকর্তা দুলনের পোস্টে তাদের প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন। 
এর আগে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে প্রবাসী ভক্তের তোপের মুখে পড়েন সাকিব। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গণের অনেক তারকাই। তবে নীরব ছিলেন সাকিব। যা নিয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচ শেষে কিছুটা ক্ষোভের সুরেই এক প্রবাসী সমর্থক জানতে চাইলেন, চলমান এই অস্থিরতায় তিনি কেন নীরব। সাকিব সরাসরি উত্তর দেননি। বরং কিছুটা ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই তাকে বলতে শোনা গেল, ‘দেশের জন্য আপনি কী করেছেন?’
এ সময় সেই দর্শক উত্তর দেন, ‘আমি কথা বলছিলাম। আমি তো আর এমপি না। আমি আমার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি।’ এসময় সাকিব অন্য কোনো উত্তর দেননি। বারবারই বলেছেন, ‘দেশের জন্য আপনি কী করেছেন?’ একপর্যায়ে অবশ্য নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে সরিয়ে নেন। অবশ্য এসময় ক্ষুব্ধ সাকিব ওই দর্শকের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব কি না সে কথাও জানতে চান।