খুলনা | বুধবার | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

চট্টগ্রামের লালদীঘিতে কারাগারে হামলা

শেরপুর কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ পালিয়েছেন ৫২৭ বন্দি

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৭ এ.এম | ০৬ অগাস্ট ২০২৪


শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলা কারাগারে আটক থাকা ৫২৭ বন্দির সবাই পালিয়ে গেছেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া সকাল থেকেই সরকারি-বেসরকারি অফিস-স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে প্রশাসনের গাড়ি চাপায় ও গুলিতে পাঁচজন নিহতের পর শেরপুর জেলা শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা আগুন দেয় আনসার অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকেই শেরপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।  
একপর্যায়ে শেরপুর সদর থানা, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের ডরমিটরি, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, আওয়ামী লীগ অফিস, শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুর বাড়ি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের বাড়ি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন বেগমের বাড়িসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে শেরপুর শহরে আনন্দ মিছিল শুরু হয়।   
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। পরে কারাগারের প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে লুটপাট চালায় তারা। এ সময় কারাগারে থাকা ৫২৭ জন আসামি পালিয়ে যান।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ আব্দুল­াহ আল খায়রুম কারাগারে ভাঙচুর, লুটপাট ও বন্দি পলায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় সব আসামি পালিয়ে গেছেন।  
চট্টগ্রাম : জেলার লালদীঘিতে কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে গুলি ছুড়ছে কারারক্ষীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিকেল পৌনে ৬টার দিকেও উত্তেজনা চলছিল। তবে কারাগারে হামলাকারীদের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি।
জেলসুপার মোঃ মঞ্জুর হোসেন সন্ধ্যা ৬টায় সাংবাদিকদের জানান, বাইরে অনেক মানুষের ভিড়। তবে এখন পর্যন্ত জেলখানার ভেতরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তার দেশ ছাড়ার খবরের পর চট্টগ্রামের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।