খুলনা | বুধবার | ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

কয়রায় বিক্ষুব্ধদের হামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:১৩ এ.এম | ০৬ অগাস্ট ২০২৪


খুলনার কয়রা উপজেলায় বিজয় মিছিলের ওপর গুলি করার ঘটনায় গণপিটুনিতে কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত অপর দু’জন হলেন জি এম মহসিন রেজার গাড়িচালক আলমগীর হোসেন ও ব্যক্তিগত সহকারী মফিজুল ইসলাম। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে থমথমে অবস্থা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর পেয়ে বিজয় উৎসবের মিছিল বের করে সাধারণ জনতা। মিছিলটি জি এম মহসিন রেজার বাসভবনের সামনে গেলে মহসিন রেজা ব্যক্তিগত পিস্তল দিয়ে ৭ রাউন্ড গুলি করেন। এতে সাত জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতরা হলেন সাব্বির, আলতাফ, আবু মুছা, নূরুজ্জামানসহ ১০ জন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা জি এম মহসিন রেজার বাসভবনে ঢুকে তাকে ও তার দুই সহযোগীকে ব্যাপক মারধর ও বাড়ির মালামালে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে জিএম মহসিন রেজাসহ তিন জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে খন্ড খন্ড মিছিলে কয়েকশ’ জনতা কয়রা সদরে আনন্দ মিছিল বের করে। একপর্যায়ে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর বাড়িতে আগুন দেয়। বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজার বাসভবন ঘেরাও করলে তার বাসভবন থেকে গুলি নিক্ষেপ করা হয়। এতে দশ জন জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। তারা স্থানীয় কয়েকটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে, আনন্দ মিছিল চলাকালে সড়কে কোন পুলিশ দেখা যায়নি। পরবর্তীতে ফের মোহসিন রেজার বাসভবনে মিছিলকারীরা আক্রমণ করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
উলে­খ, ইতোপূর্বেও বিগত দিনে মহসীন রেজা উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর এবং বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আইলার পর ত্রাণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিনি স্থানীয় সরকার কর্তৃক বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে তিনি নির্বাচনে হেরে গেলেও এ বছর পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।