খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিপর্যয় ৪০ শতাংশ বাড়বে : জাতিসংঘ

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৬ এ.এম | ২৪ অগাস্ট ২০২৪


এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিপর্যয়ের পরিমাণ ৪০ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক দপ্তর (ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন-ইউএনডিআরআর)।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস-সম্পর্কিত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের (এপিএমসিডিআরআর-২০২৪) উদ্বোধন হয়। সেখানে উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউএনডিআরআরের এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান মার্কো তোসকানো-রিভালতা বলেন, ‘এই শক্তিশালী অনুমান ইঙ্গিত দেয় যে ২০১৫ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিশ্বব্যাপী সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম, তা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি।’
‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ একটি বৈশ্বিক চুক্তি, যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্যোগ পরিকল্পনা, মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে সহায়তার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
আঞ্চলিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে রিভালতা বলেন, ‘মৌলিক বিষয় হচ্ছে, আমাদের (দুর্যোগ) মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম দ্বিগুণ করতে হবে।’
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে সম্মিলিত পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে আগামী অক্টোবরে ফিলিপাইনে এপিএমসিডিআরআর সদস্যদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে টেকসই ও প্রত্যাশিত অর্থায়ন নিশ্চিত করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ঝুঁকি হ্রাস, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের সমন্বয় এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
সম্মেলনে ফিলিপাইনের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের সেক্রেটারি মারিয়া অ্যান্টোনিয়া ইউলো লোয়জাগা বলেন, ‘এপিএমসিডিআরআর-২০২৪ আমাদের একত্র করেছে। এখান থেকে আমরা যা শিখলাম, তা সঙ্গে করে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় অংশীদারত্বকে শক্তিশালী করার সুযোগ দেয় এ সম্মেলন।’
মারিয়া অ্যান্টোনিয়া ইউলো লোয়জাগা আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন আমাদের অগ্রগতি বজায় রাখতে আমাদের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে স¤প্রদায় ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় নিজেদের প্রতিশ্র“তি জোরদার করার একটি সুযোগ।’