খুলনা | শনিবার | ২১ জুন ২০২৫ | ৭ আষাঢ় ১৪৩২

বগুড়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:১৭ পি.এম | ৩০ অগাস্ট ২০২৪


বগুড়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলিম আক্কাস বাদী হয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

আদালতের বিচারক সুকান্ত সাহা আবেদনটি আমলে নিয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ বলেন, ‘শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে আদালতের আদেশ হাতে পেয়েছি। এখন মামলা রেকর্ড করে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হবে।’

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও বিডিআর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক এডিশনাল ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দকে। অন্যতম আসামিরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশিদ, সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান, ৭১ টিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ, সাবেক সাবরেজিস্ট্রার শাহ আলম, তার স্ত্রী সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ বিপুল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুৎফর রহমান, রাজধানীর পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিন্নাত আলী মাতব্বর প্রমুখ। এ ছাড়া অন্য আসামিরা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের একদফা কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে গত ৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের নাগর বন্দরে ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়। এ সময় ১-৮ নম্বর আসামির হুকুম ও পরামর্শে সাবেক সাবরেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমের নেতৃত্বে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। এ সময় তারা ককটেল হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ করেন। একপর্যায়ে আসামি শাহ নেওয়াজ বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করলে মুসফিকুর রহমানসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

পাশাপাশি বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত আসামিরাও হামলায় অংশ নেন। রক্তাক্ত মুসফিকুর রহমানকে বগুড়া টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন।