খুলনা | শনিবার | ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

হত্যাকারীদের গ্রেফতারে দাবি জেলা বিএনপি’র

তেরখাদায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক ও দিঘলিয়া প্রতিনিধি |
১১:২৭ পি.এম | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪


তেরখাদায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে মোঃ ফারুক মীর (৪০) নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের কোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক মীর পার্শ্ববর্তী তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর উত্তর কোলা ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি গাউস মীরের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বাবুল আকতার ও তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক, গাজীরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মনিরুল ইসলাম নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধুগ্রামে মীর  সিকদার বংশের লোকজনদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্র“তার জের ধরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার কোলা বাজারের মোস্তাইন কাজীর ওষুধের দোকানে ফারুক মীর ও মোহম্মদ কাজীর সঙ্গে নিয়াল উদ্দিন শিকদারের মারামারি বাধে। এ সময় দুইপক্ষের সংঘর্ষে ফারুক মীর, জসিম মীর, গাউস মীর, ইলিয়াস মিনাসহ ৯ জন গুরুতর আহত হয়। সংঘর্ষকালে মোস্তাইন বিল­াহ’র ওষুধের দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ঐ দোকান থেকে  ২ লাখ ২৫ হাজার  টাকা লুট হয়। 
এদিকে, আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৮টার দিকে  ইউপি সদস্য  ফারুক মীর মারা যায়। এছাড়া এ ঘটনায় আহত আরো ৯ জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতের মধ্যে রয়েছেন নুরু মোল­া (৪০), জসিম মীর (৪০), গাউছ মীর (৭০) ও ইলিয়াছ (৫০)। এদের মধ্যে নুরু মোল­ার অবস্থা গুরুতর। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে স্থানীয় মাঝিরগাতী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে তেরখাদার মধুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আলীকে রাজনৈতিক শত্র“তার জের ধরে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপি নেতারা। তারা এক বিবৃতিতে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় কুলাবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনা শুনে হাসপাতালে যেয়ে শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ নেতৃবৃন্দ। এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ফারুক আলীর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী।