খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ব্যাংকের লকারে থাকা জোবায়দা রহমানের পরিবারের অলঙ্কার জিম্মায় দিতে নির্দেশ

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৮ এ.এম | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪


এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের রাজধানীর ধানমন্ডি শাখার দু’টি লকারে থাকা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান, তাঁর বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম অলঙ্কার (সোনার চেইন, হাতের বালা, আংটি) তাঁদের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন এই নির্দেশ দেন। জোবায়দা পরিবারের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
এসব অলঙ্কার ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির ওই শাখার জিম্মায় ছিল। আদালত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের জিম্মা বাতিল করে হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে চালু করতে অনুমতি দিয়েছেন। শাহিনা খানের আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে,  জোবায়দা রহমান, শাহিনা খান ও ইকবাল মান্দ বানুর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় দু’টি লকার ছিল। সেখানে তাঁদের সোনার অলঙ্কারাদি ও রুপা রাখা ছিল। 
এক-এগারোর তত্ত¡াবধায়ক সরকার আমলে তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ ধানমন্ডি থানায় জিডি মূলে জোবায়দা রহমান (স্বামী-তারেক রহমান), জোবায়দার বোন শাহিনা খান এবং তাঁদের মা ইকবাল মান্দ বানুর নামে বরাদ্দকৃত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় থাকা ৩৬/২৩ এবং ৩৬/২৪ নম্বর লকার থেকে ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম অলঙ্কারাদি জব্দ করা হয়। 
পরবর্তীকালে ওই দিনই জব্দকৃত অলঙ্কারাদি ব্যাংকটির ওই শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল­াহ আল জায়ীদের কাছে আদালত জিম্মায় দেন। পরবর্তীকালে আবেদনকারী শাহিনা খান নিজে, তাঁর মা ইকবাল মান্দ বানু ও বোন জোবায়দার যৌথ নামে বরাদ্দপ্রাপ্ত লকার চালুর আদেশ দিতে আদালতে আবেদন করা হয়। 
আবেদন শুনানির পর ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত। ধানমন্ডি থানা প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানায়, ব্যাংকের লকারে থাকা স্বর্ণালঙ্কারের বিষয়ে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই। কিন্তু তারপরও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
এ অবস্থায় গতকালকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বর্ণালঙ্কার ব্যাংকের জিম্মায় থাকার আগের আদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে জোবায়দা পরিবারের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন।